কলকাতা

শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষী খুন কান্ডে ৮ পুলিশকর্মীকে তলব সিআইডি-র

শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর নেপথ্যে কারণ কী? তা জানতেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃতের স্ত্রী। এবার এই ঘটনার তদন্তে ৮ জন পুলিশকর্তা ও কর্মীকে ভবনী ভবনে তলব করা হল বৃহস্পতিবার। ঘটনা যে সময়ের, সেই সময় ওই ৮ পুলিশকর্মী শুভেন্দুর নিরাপত্তাতেই নিযুক্ত ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জ থেকে পুলিশ ব্যারাকের দূরত্ব মাত্র ৩০ মিটার। সিআইডি সূত্রে খবর, ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর যেদিনই শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়েছিল, ওই সময় শান্তিকুঞ্জ সংলগ্ন ব্যারাকেই কর্মরত ছিলেন পুলিশকর্মীরা। ওই নির্দিষ্ট দিনে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন শুভব্রত চক্রবর্তী। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। এতদিন শুভেন্দু অধিকারীর একটা প্রভাব ছিল এলাকায়, তাই এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে সাহস পায়নি পরিবার। তবে একুশের নির্বাচনের পর শুভেন্দুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়তেই, প্রভাব কমতেই বিষয়টি নিয়ে বিচারের দাবি করেন মৃতের স্ত্রী। কেন তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যেতে গড়িমসি করা হল? তত্‍কালীন রাজ্যের মন্ত্রীর দেহরক্ষী হওয়া সত্বেও কেন অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেল না সময়ে? একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়ে কাঁথি থানায় এফআইআর করেন শুভব্রতর স্ত্রী। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার কাঁথি থানার তত্‍কালীন আইসি, এক এএসআই ও কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মূলত, শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কীভাবে এগিয়ে ছিল? তাতে কী কী তথ্য উঠে এসেছিল? এই প্রশ্নগুলোই ওই তিন পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আলাদা ভাবে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলেছিল এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। প্রয়োজনে তাঁদের একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে দু’বার শান্তিকুঞ্জে পৌঁছে গিয়েছে সিআইডি।