সিঙ্গুরে পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টের শিলান্যাস। এই কর্মসূচিকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই উৎসবের আবহে ভেসেছিল হুগলি জেলা, সর্বোপরি সিঙ্গুর। খুশির কারণ যদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমন হয়, তাহলে উৎসবের কারণ জেলার বিপুল প্রাপ্তি। বাংলার আর কোনও জেলা ‘পথশ্রী-রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পে ৩০২ কোটির বরাদ্দ পায়নি, কিন্তু সিঙ্গুরের জেলা হুগলি তা পেয়েছে। এদিন রাজ্যের ৩৩৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৯ হাজার ৪৭৫টি গ্রাম ছুয়ে চলে যাওয়া ১২ হাজার কিলোমিটারের মোট ৮ হাজার ৭৬৭টি রাস্তা তৈরি করা বা সংস্কার করার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সব রাস্তার মধ্যে হুগলি জেলায় তৈরি হবে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। এর মধ্যে ব্লকের সড়ক থাকছে ৩৬২টি। জেলা পরিষদ তৈরি ও সংস্কার করবে ৬০টি রাস্তা। বন্যাপ্রবণ আরামবাগ মহকুমার জন্য প্রায় ১০০টি রাস্তা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই রাস্তার কাজ করবে ম্যাকিনটোস বার্ন সংস্থা। আর রাজ্যের অধীনস্ত আরেক সংস্থা জেলার ৯৭টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণের কাজ করবে। টাকার বরাদ্দ থেকে মোট নির্মীয়মাণ রাস্তার দৈর্ঘ্য, রাস্তার সংখ্যা থেকে গুণমান, সবদিক দিয়েই কার্যত হুগলি জেলায় এটি বড় ধরনের প্রকল্প হতে যাচ্ছে। ফলে সেই নিয়ে উত্তেজনার আঁচ লেগেছে আমজনতার মধ্যেও। আনন্দের আরও একটি কারণ- জেলায় শুধু ওই প্রকল্পই হবে তা নয়, তাতে কাজ পাবেন ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের কর্মীরা। ফলে রথ দেখা ও কলা বেচার সুখ বাংলা নতুন বছরের আগেই আমজনতার দরবারে এসে পৌঁছে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্লকস্তরের কাজেরও উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। কাল থেকেই সেখানে পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে কাজ।