জেলা

‘দলে অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না’, উত্তর ২৪ পরগনায় কোর কমিটি গড়ে বার্তা মমতার

লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দলে কোনও রকম মনোমালিন্য বরদাস্ত করা হবে না। বৃহস্পতিবার, চাকলায় উত্তর ২৪ পরগনার কর্মিসভায় দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনা ৫টি আসনে নজর রাখার নির্দেশ স্পষ্ট নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই উদ্দেশ্যে তিনি নির্মল ঘোষকে মাথায় রেখে একটি কোর কমিটি গড়ে দেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তর চব্বিশ পরগনায় তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে মতৈক্য গড়ার বিষয়ে জোর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, দলের থেকে নিজেকে বড় ভাবলে হবে না। বলেন, “কোনও ঝগড়া বরদাস্ত করব না। বড় হয়েছি বলে কাউকে পাত্তা দেব না। হতে পারে না। আমি শুনছি কেউ কেউ অনেক বড় হয়ে গিয়েছেন। পার্টির কথা মনে রাখছেন না। তৃণমূলে থেকে নিজেকে নয়, মানুষের সেবা করতে হবে।” ব্যক্তিগত ঝগড়া করে যাঁরা বাড়িতে বসে আছেন, তাঁদেরকে ডেকে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন মমতা। তাঁর কথায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলের একটাই হৃদয়। তৃণমূল সভানেত্রী কড়া বার্তা দেন, “দলের মধ্যে কোনও ঝগড়া বরদাস্ত করা হবে না। তৃণমূলের কাজ নিজেকে সেবা করা নয়, মানুষের সেবা করা।“ দলের সাংসদ, মন্ত্রী, নেতাদের ৩৬৫দিন মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “মন্ত্রীরা জেলায় বেশি করে ঘুরুন। মানুষের সমস্যার দিকে নজর দিন। দরকার হলে চায়ের দোকানে বসুন।” দলে পুরনো ও নতুন কর্মীদের একসাথে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বর্ষীয়ান নেতাদের সম্মান জানাতে হবে। বলেন, “পুরনো কোনও কর্মী অভিমান করে থাকলে, তাঁদের বাড়ি থেকে ডেকে আনুন।” উত্তর ২৪ পরগনার নয়া কমিটিতে রয়েছেন, নির্মল ঘোষ- চেয়ারম্যান, তাপস রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসু, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রথীন ঘোষ, নারায়ণ গোস্বামী, বিশ্বজিৎ দাস, মমতা ঠাকুর, সুকুমার মাহাত, রফিকুল ইসলাম মণ্ডল, হাজি নুরুল ইসলাম, বীণা মণ্ডল, তাপস দাসগুপ্ত, গোপাল শেঠ, সুরজিৎ বিশ্বাস, গোবিন্দ দাস, এটিএম আবদুল্লা, রফিকর রহমান।