কলকাতা

সিপিএম হার্মাদরাই এখন বিজেপির ওস্তাদ, আগে সরকার কলকাতার লাট সাহেব ছিল, এখান ‘দুয়ারে সরকার’: মুখ্যমন্ত্রী

 এদিন সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে ৩ লক্ষ মানুষ পরিষেবা পান। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের নতুন উপভোক্তা হন ৬৫ হাজার। ৬৮হাজার জন পান সবুজসাথী সাইকেল। কৃষকবন্ধু, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, মানবিক ভাতা থেকে অর্টিজম কার্ড বিলি, কৃষি সরঞ্জাম বিলি সহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করা হয়। হাজার কোটি টাকার প্রকলল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাম ও বিজেপিকে খেজুরির সভা থেকে একযোগে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, সিপিএমের হার্মাদরাই এখন বিজেপির ওস্তাদ। আগে (বাম আমল) সরকার ছিল ‘লাট সাহেব’। কলকাতায় পাওয়া যেত। গ্রামে গঞ্জে কেউ যেতে চাইতেন না। এখন সরকার প্রত্যন্ত এলাকায় যায়। বুথে বুথে হয় ‘দুয়ারে সরকার’। মানুষকে কলকাতা ছুটে আসতে হয় না।এদিন তিনি বলেন, একসময় খেজুরিতে যাওয়া যেত না সিপিএমের অত্যাচারে। বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়ে তাঁর ওপরে পেট্রোল বোমা এবং মদের বোতল নিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সময় মানুষকে ১০ দিন ঘর থেকে বেরতে দেওয়া হয়নি অপারেশন সূর্যোদয়ের

নামে। ওই পরিস্থিতিতেও তিনি লড়াই চালিয়েছেন সিপিএম এবং বিজেপি’র হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘আরও ভাঙব। লেজ গুটিয়ে পালাবে’।  মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ১৭ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজ করেছেন। তাঁদের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। টাকা আটকে রেখেছে বাংলার বাড়ি ও রাস্তা তৈরির। বিজেপি শাসিত কেন্দ্রকে ‘লুঠেরা’, ‘দাঙ্গাবাজ’ বলে তিনি বলেন, তবু রাজ্য নিজেই টাকার জোগান দেবে। সমস্ত ব্যবস্থাই রাজ্য করবে, কোনও কাজ আটকে থাকবে না। তাঁর অভিযোগ, জিএসটি নিয়েও। এদিন তিনি বলেন, জিএসটি কেন্দ্র তুলে নিয়ে যায় তবু রাজ্য তার প্রাপ্য পায় না। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও নাম না করে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘গদ্দার বাবুরা তখন ঘরে ছিলেন। গায়ে আঁচড়টুকু লাগেনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ১৭ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজ করেছেন। তাঁদের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। টাকা আটকে রেখেছে বাংলার বাড়ি ও রাস্তা তৈরির। বিজেপি শাসিত কেন্দ্রকে ‘লুঠেরা’, ‘দাঙ্গাবাজ’ বলে তিনি বলেন, তবু রাজ্য নিজেই টাকার জোগান দেবে। সমস্ত ব্যবস্থাই রাজ্য করবে, কোনও কাজ আটকে থাকবে না। তাঁর অভিযোগ, জিএসটি নিয়েও। এদিন তিনি বলেন, জিএসটি কেন্দ্র তুলে নিয়ে যায় তবু রাজ্য তার প্রাপ্য পায় না।