কলকাতা

রাজ্যে এক দফার পঞ্চায়েত ভোট করাতে পর্যাপ্ত পুলিশের অভাব

রাজ্যে কয় দফায় পঞ্চায়েত ভোট হবে তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত শোনা যাচ্ছিল। এমনকি এটাও শোনা যাচ্ছিল আগামী ৭ মে রাজ্যে এক দফাতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে। আদতে রাজ্য সরকারই চাইছে বাংলায় এক দফাতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক। নিয়মানুযায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই এই বিষয়ে দিনক্ষন ঘোষণা করবেন। যেহেতু রাজ্য সরকার চাইছে ১ দফায় সেই ভোট হোক, তাই সম্ভবত রাজ্য নির্বাচন কমিশনও চাইলেও ভিন্ন পথে পা বাড়াতে চাইছে না। তাই তাঁরাও এক দফাতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই ভোট মে মাসে হবে বলেই কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু কমিশনের কর্তাদের চিন্তা এক দফায় নির্বিঘ্নের ভোট করতে যে বিপুল পুলিশ বাহিনীর প্রয়োজন আছে তা আসবে কোথা থেকে?   সূত্রে খবর, আপাতত মে মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে এমনটা ধরে নিয়েই তাঁরা যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছেন। কিন্তু ১ দিনে ভোটগ্রহণ করতে হলে যে বিশাল পুলিশবাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে তা কোথা থেকে আসবে তা নিয়েই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁদের। ১ দিনে ভোট করাতে হলে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ভোটকর্মীর প্রয়োজন। তার তালিকা অনলাইনে মোটামুটি তৈরি করে ফেলেছেন জেলাশাসকরা। যদিও এক্ষেত্রেও চিন্তা থাকছে মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি কর্মীদের ঠিক কতখানি এই নির্বাচনের জন্য পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি মূল ভাবার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। গত পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৬৫০। এবারে সেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বেড়ে হচ্ছে ৬৩ হাজার ৩৩৯টি। প্রতি কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে যদি ২জন করেও পুলিশকর্মী দেওয়া হয় তাহলে সেখানেই মোট ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৭৮ জন পুলিশকর্মীর প্রয়োজন। এই সংখ্যাটাই এখন চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের আধিকারিকেরা পড়শি রাজ্যগুলির সঙ্গে পুলিশ চেয়ে কথা বলেছিল। কিন্তু এখনও সেখান থেকে সদুত্তর কিছু পাওয়া যায়নি। আবার ভিন রাজ্য থেকে পুলিশ আনতে গেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যে ছাড়পত্রের প্রয়োজন সেই অনুমতিও অমিত শাহের মন্ত্রক দেবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন ঝুলে রয়েছে। আবার রাজ্য সরকার একদমই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চাইছে না। একই সঙ্গে একের বেশি দফায় ভোট করাতেও চাইছেন না তাঁরা। এই অবস্থায় হয়তো দেখা যাবে কমিশনকে বুথ পিছু ২জন করে পুলিশকর্মী মোতায়েন না করে কিছু ক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্র পিছু পুলিশকর্মী নিয়োগ করতে হবে। এমনকি বুথ পিছু ২জনের জায়গায় হয়তো ১জন করে পুলিশকর্মী নিয়োগ করতে হবে।