সোমবার সকালে এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেন, তাঁদের হাতে এসেছে দু’টি গোপন ভিডিয়ো। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান ঘিরে অশান্তির চক্রান্ত করা হচ্ছে। এর পরে কুণাল ওই ভিডিও দু’টি প্রকাশ করেন। ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি বঙ্গ নিউজ। প্রথম ভিডিয়োয় পর্দায় দেখা যাচ্ছে এক যুবককে। আলো-আঁধারি একটি ঘরে বসে আছেন তিনি। তাঁর মাথার পিছন দিকে একটি লোকনাথবাবার ছবি দেওয়া ক্যালেন্ডার। পর্দার যুবকের পরনে গেরুয়া রঙের টিশার্ট। তিনি কথা বলছেন। নেপথ্যে শোনা যায় আরও এক জনের কণ্ঠস্বর।
পর্দার যুবক: ২৭ তারিখের যে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে বলছেন, তা কি আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে? আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে না। গুলি চলবে। রাবার বুলেট চলবে।
নেপথ্য কণ্ঠস্বর : কিন্তু গুলি বা রাবার বুলেট কি ওরা আদৌ চালাবে? ওরা কিন্তু একটা জিনিস বুঝে গিয়েছে…
পর্দার যুবক: কিন্তুএরা (আন্দোলনকারীরা) ওদের চালাতে বাধ্য করবে।
নেপথ্য কণ্ঠস্বর: মানে যাঁরা যাবেন ওখানে…
পর্দার যুবক: এখানে ভিতরে বড় রাজনীতির চক্র চলছে। অন্য দিকে মোড় ঘুরে গেলেও যেতে পারে। আমাদের ধারণা সেটা। সবই দেখার ব্যাপার। কী হয় এখন দেখা যাক। তবে লোক যাবে। ব্যাপক লোক হবে।
নেপথ্য কণ্ঠস্বর : পরিষ্কার কথা দাদা। আমি নিজে সংবাদমাধ্যমের ছেলে। সংবাদ করে আসা। বডি যদি না পড়ে…
পর্দার যুবক: (মাথা নেড়ে) রাজনীতি হবে না।
নেপথ্য কণ্ঠস্বর: বডি যদি না পড়ে, দু’-একটা লাশ যদি না পড়ে…। তবে আপনার কী মনে হয়, আন্দোলনের মোড় ঘুরতে পারে?
পর্দার যুবক: অবশ্যই বডি না পড়লে কোনও দিনও মোড় ঘুরবে না। আমার যা ধারণা বডি এ বার পড়বেই।
নেপথ্য কণ্ঠস্বর: ২৭ তারিখ?
পর্দার যুবক: হ্যাঁ ২৭ তারিখ।
নেপথ্য কণ্ঠস্বর: ওইটা না হলে ঘোরার সুযোগ নেই?
পর্দার যুবক: না না না নেই।
এর পরে আরও একটি ভিডিয়ো দেখতে বলেন কুণাল। ওই ভিডিয়োটিরও সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োটি আগের ভিডিয়োর মতো কোনও ঘরের ভিতরে নয়, বরং একটি খোলা জায়গায় রেকর্ড করা হয়েছে। যিনি পর্দায় কথা বলছেন, তাঁর পিছন দিকে দিনের আলো থাকায় মুখটি অস্পষ্ট। তাঁকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, তিনি তাঁর জবাব দিচ্ছেন।
প্রশ্নকর্তা: দাদা কী হবে? ২৭ তারিখের আন্দোলনে? আপনি যেটা বলছিলেন, জঙ্গি আন্দোলন হবে!
পর্দার ব্যাক্তি: ওইটা তো করতেই হবে। একটা দুটো বডি যদি না পড়ে কিচ্ছু হবে না।
প্রশ্নকর্তা: আপনারা আন্দোলনটা এ বার কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন? আপনারা তো ওখানে আন্দোলন করলেন চলে আসলেন, পরের ইস্যুটা কী হবে?
পর্দার ব্যক্তি: তোমাকে মারব, এটা যতটা ভয়ের, মেরে ফেললে কিন্তু আর তা হবে না। ভয়টা কেটে যাবে…।
নেপথ্য কণ্ঠস্বর: আপনি যদি দেখেন চোখের সামনে পুলিশের গুলিতে একটা বডি পড়ে গেল…
পর্দার ব্যক্তি: হ্যাঁ, আজ সিপিএম আর ফরোয়ার্ড ব্লক একসঙ্গে রয়েছে। কিন্তু এক সময় সিপিএম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে ফরোয়ার্ড ব্লকের পাঁচটা বডি পড়েছিল মনে আছে? পাঁচ জনকে গুলি করেছিল পুলিশ।
দ্বিতীয় ভিডিয়োটি এখানেই শেষ হয়।