বিনোদন

‘ভোট পাওয়ার জন্যে মুসলিম বিদ্বেষকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি সরকার’, বিস্ফোরক নাসিরুদ্দিন শাহ

“বিজেপির পাতা ফাঁদে মুসলিম-বিরোধীতাটা এখন ফ্যাশন! ভোটে জিততেই এসব করা হচ্ছে। আর নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে..” বিস্ফোরক নাসিরুদ্দিন শাহ। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে একাধিকবার বলিউড সিনেমাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ছবির গল্প। গতবছর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেই উদাহরণের তালিকায় নয়া সংযোজন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। বিতর্কের পালে ভর করে বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করলেও প্রচারমূলক সিনেমার তকমা কিন্তু এই দুটো সিনেমার ক্ষেত্রেই জুটেছে। আমজনতার একাংশের অভিযোগ, ধর্মকে হাতিয়ার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা হচ্ছে। বিভাজন নীতির বীজবপণ করা হচ্ছে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। তাঁর মন্তব্য, “বর্তমানে সিনেমাগুলোতে যা দেখানো হচ্ছে, তা পুরোপুরি ‘ইসলামোফোবিয়া’। অবশ্যই এটা চিন্তার কারণ। কেরামতির সঙ্গে এহেন বিদ্বেষমূলক প্রচার লেপে দেওয়া হচ্ছে মানুষের মনে। আজকাল মুসলিম বিরোধিতা করাটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।” এখানেই অবশ্য থামেননি নাসিরুদ্দিন শাহ। এরপর বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা বিজেপিকে তোপ দেগে এও বলেন যে, “শিক্ষিত লোকেদেরও এই মুসলিম বিরোধিতা করাটা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের শাসকদল খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মানুষের মজ্জায় মজ্জায় এই বিষয়টি ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমরা ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এসব নিয়ে যখন বড় বড় বুলি আওড়াই, তাহলে সবকিছুতে ধর্মকে ঢোকানোর দরকারটা কি?” নাসিরুদ্দিনের মন্তব্য, “ধর্মকে হাতিয়ার করে যখন নেতা-মন্ত্রীরা ভোট চাইতে যান, তখন নির্বাচন কমিশন নীরব ভূমিকা পালন করে। কতটা মেরুদণ্ডহীন এরা, যারা এর বিরুদ্ধে একটা কথা বলতে পারে না!”