করোনা সংক্রামিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যায় সরকারের সঙ্গে গরমিল হচ্ছে হাসপাতালের। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই সরিয়ে দেওয়া হল দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালের ডিরেক্টর ডক্টর জে সি পাস্সিকে। মেডিসিন বিভাগের ডক্টর সুরেশ কুমারকে নতুন ডিরেক্টর করা হয়েছে। কয়েক দিন আগেই এই ঘটনা সামনে আসে। ৬ মে পর্যন্ত দিল্লি সরকারের বুলেটিনে জানানো হয়, রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। তার মধ্যে লোক নায়ক হাসপাতালে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ৬ মে পর্যন্ত হাসপাতালের রিপোর্টে জানানো হয় ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড সংক্রমণে। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই হইচই পড়ে যায়। বুধবার কেজরিওয়াল সরকারের বুলেটিনে জানানো হয় দিল্লিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০৬ জনের। কিন্তু রাজধানীর চারটি কোভিড ১৯ হাসপাতালের রিপোর্টে মৃত্যুর সংখ্যা দেখানো হয় ১৭৩। তারপরেই সরিয়ে দেওয়া হয় ডক্টর জে সি পাস্সিকে। তিন সদস্যের একটি অডিট কমিটি তৈরি করে দিল্লি সরকার। কী ভাবে এই হিসেবে গরমিল হল তা খোঁজার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁদের। ডক্টর জে সি পাস্সিকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে অবশ্য এই হিসেবে গরমিলের কথা স্বীকার করা হয়নি সরকারের তরফে। যদিও এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ডক্টর পাস্সির বয়স ৬২ বছরের বেশি। তাই তাঁকে সরানো হয়েছে। এর সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যায় গরমিলের কোনও সম্পর্ক নেই।