এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “কৃষি বিলের বিষয়ে ভুল বার্তা ছড়ানো হচ্ছে । বলা হচ্ছে কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন না । কিন্তু যাঁরা এই ভুল বার্তা ছড়াচ্ছেন, তাঁরা জানেন না ভারতের কৃষকরা কতটা সচেতন ।” কেন্দ্রের প্রস্তাবিত কৃষি বিলগুলিকে কৃষক স্বার্থের পরিপন্থী বলে জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে গতকালই পদত্যাগ করেছেন হরসিমরত কউর বাদল । মন্ত্রিসভায় শিরোমণি অকালি দলের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন তিনি । তাঁর পদত্যাগের পর আকালি দলের তরফে জানানো হয়, “কৃষক-বিরোধী” বিলে অকালি দলের সমর্থন নেই, তাই এই সিদ্ধান্ত । তবে বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাবে আকালি দল । এরই মধ্যে গতকাল লোকসভায় ধ্বনিভোটের মাধ্যমে পাশ হয় কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলি । আজ বিহারের কোশি নদীর উপর একটি রেলওয়ে সেতুর উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ভিডিয়ো কনফারেন্সে অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী । ওই ভিডিয়ো কনফারেন্সে গতকালের ড্যামেজ কন্ট্রোলে অনকেটা সময় ব্যয় করতে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদিকে । বিরোধী দলগুলি বিশেষ করে কংগ্রেসের থেকে কৃষি বিলগুলির যে সমালোচনার বাণ বারবার ছুটে এসেছে সরকারের দিকে, তা সামাল দিতেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি । কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলির সপক্ষে আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারি সংস্থাগুলি কৃষকদের থেকে চাল, গম ও অন্যান্য ফসল আর কিনবে। উল্লেখ্য গতকালই কেন্দ্রের আনা কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলি কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থী বলে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই । এই কৃষক বিরোধী বিলের কারণেই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল । মন্ত্রীর পদত্যাগের মধ্যেই লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ কৃষি বিল। কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলি সবে ঘোষণা হয়েছে । বিলের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভুটি শুরু হওয়ার মুহূর্তে । রাহুল গান্ধি ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা তখন বিলের বিরোধীতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । আর ঠিক সেই সময়েই কেন্দ্রের বিড়ম্বনা শতগুণে বাড়িয়ে এই বিলগুলিকে কৃষক স্বার্থের পরিপন্থী বলে বসলেন শিরোমণি আকালি দলের নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল । এ দিন সংসদে বিলগুলির ঘোষণা করার পরেই হরসিমরতের স্বামী এবং অকালি দলের প্রধান সুখবীর বাদল বলেন, ” কৃষি ক্ষেত্রে পঞ্জাব সরকারের ৫০ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম এই প্রস্তাবিত বিল ধ্বংস করবে ৷” প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই পঞ্জাব ও হরিয়াণায় “কৃষক বিরোধী” এই বিলগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছিল ।