ইস্টবেঙ্গল – ২
গোকুলাম – ১
গোকুলাম কেরালাকে হারিয়ে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে চলে গেল ইস্টবেঙ্গল । চার বছর আগে এই দলটার কাছেই হেরে ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল লাল হলুদকে। তাই আজ প্রতিশোধের ম্যাচ ছিল ইস্টবেঙ্গলের। পাশাপাশি মোহনবাগান এবং পঞ্জাবকে হারানোর পর যে ছন্দ তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল তার দাম থাকত না যদি আজ না জিততে পারত। এক মিনিটের মধ্যেই গোল তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল। কর্নার থেকে মহেশ, বোরহা হয়ে বল বক্সের মধ্যে সিভেরিওর মাথায় আসতেই হেড করলেন সামনে। ছ ফুট তিন ইঞ্চির জর্ডান এলসে নিখুঁত হেডে বল জড়িয়ে দিলেন জালে। সাউলের শট ক্রসপিসে প্রতিহত না হলে প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়িয়ে নিত ইস্টবেঙ্গল। গকুলাম চেষ্টা করছিল বটে কিন্তু কমরণ, নিলি, আলেক্সিসদের বক্সের মধ্যে ফিনিশিং হচ্ছিল না। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ফ্রি ফুটবলারের ভূমিকায় ছিলেন বোরহা। গোকুলাম সেকেন্ড হাফ শুরু হতেই আক্রমণ করতে থাকল। ইস্টবেঙ্গল মিডফিলড খেলাটা হারিয়ে ফেলল। ৫৭ মিনিটে দুরন্ত হেড থেকে গোল শোধ করে দিলেন গোকুলামের ক্যামেরুনের সেন্টার ব্যাক আমিনু বউবা। এরপর দুটো পরিবর্তন নিল ইস্টবেঙ্গল। নিয়ে আসা হল লুকাস এবং ক্লেটনকে। শারীরিক ফুটবলে ইস্টবেঙ্গলকে চাপে রাখার চেষ্টা করছিল কেরলের দলটি। কিন্তু ৭৮ মিনিটে মহাগুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় গোল পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। মহেশ হয়ে নিশু কুমারের বাড়ানো বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসলেন সেই বউবা।