কলকাতা

অনশনকারী এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ দেখতে বিশেষ কমিটি

কলকাতাঃ অনশনকারী এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ দেখতে বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে, সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ বিকেলে বিকাশভবনে পাঁচ অনশনকারী এসএসসি চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে দেখা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার অনশনকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও মানবিক। তাঁদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি।’ এসএসসি নিয়োগের পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়েছে। কোনও অনিয়ম হয়নি। ওয়েটিং লিস্টে কখনও প্যানেল হতে পারে না।’ শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘অনিয়ম হলে কেনও সবাই অনশন করছেন না?’ পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘সবাই যোগ্য প্রার্থী নন। তাঁদের সবাইকে যোগ্য প্রার্থী করার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনশন করানো হচ্ছে। অসহায় চাকরিপ্রার্থীদের ভুল বোঝানো হচ্ছে।’

শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্য ও তার খন্ডন

১) শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন –ওরা নিজেরাও জানে না যে ওরা কি চায়।।
আমরা স্পষ্ট করে হাজার বার বলেছি আমরা চাকরি চাই আর কিছু নয়।।
২) উনি আবারও আমাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন!!
মাননীয় মহাশয় যোগ্যতা আছে বলেই আমাদের প্যানেলে নাম আছে।।
৩) উনি বারবার আইনের কথা বলছেন মনে হচ্ছে আমরা বেআইনি কিছু দাবি করছি
আমাদের প্রতি টা দাবি বৈধ্য
কারন আইন ভঙ্গ করেছে বলেই মহামান্য হাইকোর্টের কাছে বারবার ভৎসনা খেতে হচ্ছে সরকারকে এবং সব কেসেই সরকার হারছে!!
উনি বলেন সমস্যা ওনার কাছে নিয়ে যেতে। কিন্তু গেলে আর উনার পাত্তা পাওয়া যায় না।
৪) উনি আপডেট ভেকান্সি টাকে ভুল ধারণা বলেছেন। অথচ গেজেটে বলেছে ইন্টারভিউের ১৫দিন আগে পর্যন্ত ভেকান্সি আপডেট নিয়ে ইন্টারভিউ করা হবে, অথচ ২০১২ সালে শেষ বারের মতো নিয়োগ হয়। আর তখনও যে ভেকান্সি ২০১৮ সালে ইন্টারভিউের সময়ও একই ভেকান্সি এটা কি অন্ধকে হাইকোর্ট দেখানো নয়? অথচ স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা বলছেন আমরা যে ভেকান্সি ডিআইকে পাঠিয়েছি তার অর্ধেক শিক্ষকও আমাদেরকে দিচ্ছে না। এটা কোন মিথ নয় আসল সমস্যা এটাই, আর ভেকান্সি আপডেট করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
৫) “ওদের মাথায় কে ডুকিয়েছে”?
বলি মহাশয় আমরা আমরা বাচ্চা নই, এইভাবে আমাদের অপমান করবেন না, আমরা সর্বোচ্চ শিক্ষিত আমাদের নিজেদের বোঝার ক্ষমতা আছে।
৬) এক একদিন এক এক প্রতিনিধি
মহাশয় আমরা পিকনিক করছি না, না খেয়ে অনশন করছি, শরীর সবার সব দিন সুস্থ থাকে না, হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হয়।
৭) প্যানেল ও ওয়েটিং এক নয়
মহাশয় ওটা ভুল বলেছেন, ওটা এমপ্যানেল হবে, আর এমপ্যানেল ও ওয়েটিং একই, তাই তো ওয়েটিং থেকে ৩র্থ কাউন্সিলংও করাতে বাধ্য হচ্ছেন। ইংরেজিতে পড়তে আপনি ভুল করেছেন
৮) ৪ টে সিট আছে ২৬ জন বসে আছে।
হ্যা মহাশয় এটাই তো বোঝানোর চেষ্টা করছি যে ৪টে সিটে ৬জনকে রাখবেন গেজেটের ১ঃ১.৪ রেশিও মেনে, ২৬ জন কে কেন?? কেন আইন ভাঙ্গলেন মাটির জন্যে??
৯) অভিযোগ মুখেই বলছে
অভিযোগ মুখেই তো বলতে হবে, তাছাড়া কিসে বলব?
তাও না শুনলে কোর্টে যায় আর অত টাকা নেই তাই অনশন করছি।
এবার সৎ সাহস থাকলে আপনি তিনটা কাজ করে দেখান গেজেটের আইন অনুসারে
১)রেসিও মেনটেন করে প্যানেল প্রকাশ করুন।
২)গেজেট অনুসারে সীট আপডেট করুন।
৩)মেরিট লিষ্টে লিখিত নং, ইন্টারভিউ নং ও একাডেমিকর নং প্রকাশ করুন। চাকরি দিতে হবে না শুধু এই তিনটা করে দিন অনশন এখনোই তুলে নেবো আমরা।