হক জাফর ইমাম, মালদাঃ লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই ডালুর গড়ে কংগ্রেসে ধস।মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের কালিয়াচক, মোথাবাড়ি, সুজাপুর—সহ বিভিন্ন এলাকায় কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে দলত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। মানিকচক থেকে বৈষ্ণবনগর, পঞ্চায়েত স্তরেও কংগ্রেসে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এবার কংগ্রেস ছাড়ছেন সুজাপুর বিধানসভা এলাকার হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা হামিদুর রহমান। দু’দিন আগেই তৃণমূলের এক কর্মিসভায় হাজির হয়ে দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন হামিদুর রহমান। সেই দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। দক্ষিণ মালদহের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)—র ঘনিষ্ঠ অনুগামী হিসাবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন হামিদুর। তিনি মালদহ জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। একদা বিধানসভা ভোটেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বর্তমানে নয়মৌজা ইদগাহ কমিটির সম্পাদক পদে রয়েছেন হামিদুর রহমান। সদলে তিনি দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলে নিজেই জানিয়েছেন হামিদুর। মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা মালদহ দক্ষিণ লোকসভা আসনের দলীয় প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন জানিয়েছেন, আগামী ১৬ তারিখ সুজাপুরে তৃণমূলের একটি সভা ডাকা হয়েছে। সেই সভামঞ্চ থেকেই হামিদুর রহমানের হাতে তৃণণূলের পতাকা তুলে দেওয়া হবে। নিজের ঘনিষ্ঠ অনুগামী হামিদুরের দলত্যাগের খবর পেয়েই মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকায় ছুটে যান কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। সুজাপুর লাগোয়া গয়েশবাড়িতে একটি দলীয় কার্য্যালয়ের ফিতে কেটে ডালুবাবু কোতোয়ালি ফিরে যান। যদিও হামিদুর রহমান প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি ডালু। হামিদুর রহমান বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই আমি নিঃশর্তে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তৃণমূল জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের উদ্যোগে নয়মৌজা ইদগাহ ময়দানের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এই সরকার ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। ইদগাহ কমিটির সম্পাদক হিসাবে এতে আমি অভিভূত। আরও উন্নয়ন করতে হবে। এলাকার মানুষের স্বার্থে কাজ করার জন্য আমি তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছি।”