দেশ

Pahalgam Terror Attack : বিয়ে হয়েছিল মাত্র কয়েকদিন আগেই, মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা নেভি অফিসার

বিয়ে হয়েছিল মাত্র কয়েকদিন আগেই। এখনও শুকিয়ে যায়নি মেহেন্দির রঙ। তার আগেই ফিকে হয়ে গেল জীবন। সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে বিনয় নারওয়াল গিয়েছিলেন মধুচন্দ্রিমায়। স্ত্রী হিমাংশি নরওয়ালকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন পহেলগাঁওয়ের বৈসরিণে। মঙ্গলবার দুপুরে সেখানেই হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলাতেই অন্য আরও প্রায় ৩০ জনের সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে নৌবাহিনীর আধিকারিক লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়ালের। কেরালার কোচিতে কর্মরত ছিলেন বিনয় নারওয়াল (২৬)। জানা গিয়েছে, মাত্র ২ বছর আগে নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন বিনয় নারওয়াল। হরিয়ানার কারানালের বাসিন্দা বিনয়ের বিয়ে হয়েছিল গত ১৬ তারিখে। তার পরেই স্ত্রীকে নিয়ে হনিমুনে পহেলগাঁও গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে শোনার পরেই শোকের পরিবেশ গ্রাম জুড়ে। বিনয়ের এক প্রতিবেশি নরেশ বনসাল বলেন, ‘কয়েক দিন আগেই বিনয়ের বিয়ে হয়। চার দিন আগেই তাঁর বিয়ের প্রীতিভোজ ছিল। আমরা সবাই মিলে কত আনন্দ করলাম। আর আজ আমরা জানতে পারছি জঙ্গিরা তাঁকে মেরে ফেলেছে। এই ঘটনা যে কতটা দুঃখের তা আমরা বোঝাতে পারব না।’ আর, পহেলগাঁওয়ে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে তাঁর ঝাঁঝরা হয়ে হওয়ার ঘটনা শোনার পরে চোখে জল বাঁধ মানছে না গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, খুব ভদ্র এবং মিশুকে ছিলেন বিনয়। বিনয়ের বাবা, রাজেশ নরওয়াল পানিপথে জিএসটি বিভাগের সুপার পদে কর্মরত। তাঁদের আসল বাড়ি হরিয়ানার কারনাল জেলার ভুসলি। বাবা মা ছাড়াও এক বোন আছে বিনয়ের। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে স্তম্ভিত রাজেশ। আর বিনয়ের মা তাকিয়ে আছে শুন্য দৃষ্টিতে। সূত্রের খবর, জঙ্গিদের চালানো গুলি লাগে তাঁর বুক, গলা এবং বাম হাতে। তবে তাঁর স্ত্রী কেমন আছেন তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ের ওই হামলাতেই মৃত্যু হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর অফিসার মনীশ রঞ্জনেরও। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে কলকাতার বৈষ্ণবঘাটার বাসিন্দা  বিতান অধিকারীরও। ওই হামলায় একাধিক বিদেশি-সহ অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।