কলকাতা

এবার অর্পিতার পণ্ডিতিয়া রোডের ফোর্ট ওয়েসিসের ফ্ল্যাটে হানা, নকল চাবি বানিয়ে ঢুকল ইডি

পণ্ডিতিয়া রোডের অভিজাত আবাসন। নাম ফোর্ট ওয়েসিস। এই ফ্ল্যাটের সঙ্গেও যোগ রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার এই ফ্ল্যাটের তল্লাশি শুরু করল ইডি। পণ্ডিতিয়া রোডের ৬ নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে তালা দেওয়া ছিল। এদিন চাবিওয়ালা ডেকে বানানো হয় নকল চাবি। এর পর সেই চাবি দিয়ে তালা খুলে শুরু হয় তল্লাশি। ইডি ফ্ল্যাটে ঢুকতেই শুরু হয় জল্পনা। এবার কি তাহলে এই ফ্ল্যাট থেকেও উদ্ধার হবে গুপ্তধন? মঙ্গলবার পণ্ডিতিয়ার আবাসনের এই ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল ইডি। কিন্তু ফ্ল্যাটটি তালা বন্ধ থাকায় সেদিন তল্লাশি চালাতে পারেনি ইডি। সিল করে দেওয়া হয় ফ্ল্যাটটি। বৃহস্পতিবার আবার ওই ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় চাবিওয়ালা। নকল চাবি বানিয়ে ওই দরজা খুলে ফ্ল্যাটে ঢোকেন ইডির আধিকারিকরা।

 উল্লেখ্য, কলকাতার পণ্ডিতিয়া রোডের ‘ফোর্ট ওয়েসিস’ আবাসনের প্রকৃত মালিক কে ? এই সংক্রান্ত তথ্যের হদিশ পেতে বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সরোবর থানায় পৌঁছে যান ইডি-এর প্রতিনিধিরা ৷ জানতে চান, এই আবাসনের সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কী সম্পর্ক রয়েছে ৷  জানা গিয়েছে, এদিন ইডি-এর প্রতিনিধিরা দীর্ঘক্ষণ রবীন্দ্র সরোবর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন ৷ তাঁরা জানতে চান, স্থানীয় থানার কাছে আদৌ এই আবাসনের মালিকানা সংক্রান্ত কোনও তথ্য রয়েছে কি না ৷ উল্লেখ্য, গত সোমবার ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনে হাজির হয়েছিলেন ইডি-এর গোয়েন্দারা ৷ তাঁদের কাছে খবর ছিল, এই আবাসনটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৷ তাই ইডি-এর ধারণা হয়, দক্ষিণ কলকাতার এই আবাসনে তল্লাশি চালালে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি, নগদ অর্থ বা সোনার মতো কোনও মূল্যবান সম্পদ উদ্ধার হতে পারে ৷ কিন্তু, সেদিন দীর্ঘক্ষণ ওই আবাসনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেও ভিতরে ঢুকতে পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ৷আসলে, পরবর্তীতে ইডি-এর কাছে খবর আসে, এই আবাসনের আসল মালিকের নাম স্মিতা ঝুনঝুনওয়ালা ৷ কিন্তু, এখনও পর্যন্ত স্মিতাকে খুঁজে পাননি ইডি আধিকারিকরা ৷ তাই পুলিশের সাহায্য নিতে রবীন্দ্র সরোবর থানায় পৌঁছে যান তাঁরা ৷ কারণ, যেকোনও এলাকায় কোনও সম্পত্তির মালিকানা বদল হলে স্থানীয় থানার কাছে সেই সংক্রান্ত তথ্য থাকা উচিত ৷ সেই তথ্য়ের খোঁজেই এদিন দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷