সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করা ও দীর্ঘ সময় তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে অভিযুক্তদের ন্যায্য জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করা ৷ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) এই কাজের উপর বুধবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷ আদালত উল্লেখ্য করেছে, এর ফলে অভিযুক্তদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কারাদণ্ড ভোগ করতে হচ্ছে বিনা বিচারে ৷ এ নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভও প্রকাশ করেছে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ শীর্ষ আদালত এই ইস্যুতে, ইডি-র হয়ে সওয়ালকারী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজুকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করে, ” অভিযুক্ত ব্যক্তি বিনা বিচারে কারাগারে বন্দি রয়েছেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধে আপনি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করতে পারেন না ৷ এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি গত 18 মাস ধরে বিনা বিচারে কারাগারে বন্দি রয়েছেন ৷ এটা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে ৷” বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, “জামিনের অধিকার সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের ৪৫ নম্বর পিএমএলএ ধারায় উল্লিখিত রয়েছে ৷ যা জামিনের জন্য কঠোর দু’টি শর্ত আরোপ করে ৷ ফলে আদালতের জামিন দেওয়ার অধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া যাবে না ৷” বেঞ্চ জানিয়েছে, “ডিফল্ট জামিনের অর্থ হল, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবেন না ৷ আর আপনি বলতেও পারেন না, যে তদন্ত শেষ না হলে বিচার শুরু হবে না ৷”তবে, অনেকক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিতে হয় বলেও উল্লেখ করেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ৷ তিনি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমরা কিছু ক্ষেত্রে আপনাদের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট গ্রহণ করব ৷ সেই মতো নোটিশ জারি করব আপনাদের জন্য ৷ কিন্তু, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর, বিচার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে ৷” উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের প্রাক্তন সহযোগী প্রেম প্রকাশকে ইডি গ্রেফতার করেছিল ১৮ মাস আগে ৷ হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর, প্রেম প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন ৷ তবে, মামলাটি গ্রহণ করার পর সুপ্রিম কোর্ট 29 এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ৷