খেলা

ইডেনেও লজ্জার হার, বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল পাকিস্তান

ইংল্যান্ড: ৩৩৭-৯ (স্টোকস ৮৪, রুট ৬০)
পাকিস্তান: ২৪৪ (আঘা সলমন ৫১, বাবর ৩৮)
ইংল্যান্ড ৯৩ রানে জয়ী।

ইংল্যান্ডের কাছে ৯৩ রানে কার্যত নতি স্বীকার করল পাকিস্তান। আর সেইসঙ্গে চলতি বিশ্বকাপ থেকেও তাদের বিদায় নিতে হয়েছে। এদিন ম্যাচে টস জিতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সত্যি কথা বলতে কী, ব্রিটিশ অধিনায়ক টস জিততে না জিততেই বাবরদের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছিলে। এই ম্যাচে ইংল্যান্ড ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রান তোলে। অর্থাৎ পাকিস্তানকে জয়ের জন্য ৩৩৮ রান করতে হল। কিন্তু, সেটা মাত্র ৬.৪ ওভারে! এই পাহাড়প্রমাণ চাপ পাকিস্তানের ওপেনাররা নিতে পারেননি। শুরুতেই ফখর জমান এবং আবদুল্লা শফিক উইকেট হারিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে আসেন। নির্ধারিত ৬.৪ ওভারে পাকিস্তান জোড়া উইকেট হারিয়ে ৩০ রান করে। কিন্তু, অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলেন শেষ চারের দৌড় থেকে বাবররা ছিটকে গেলেও, শেষপর্যন্ত জিতবে এবং মাথা উঁচু করে দেশে ফিরবে। কিন্তু, শেষপর্যন্ত সেটাও আর হল না। শেষবেলায় হ্যারিস রউফ একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলার চেষ্টা করেছিলেন বটে কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট দল এই ম্যাচে ২৪৪ রানে অলআউট হয়ে লজ্জায় মুখ লুকোয়। ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে মূলত হারতে হয়েছে। শনিবার কেরিয়ারের শেষ একদিনের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ডেভিড উইলি। ইনিংসের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই তিনি আবদুল্লা শফিকের উইকেট তুলে নেন। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফখর জমান (১) শতরান করলেও, এই ম্য়াচে চূড়ান্ত ফ্লপ করেন। অধিনায়ক বাবর আজম (৩৮) এবং মহম্মদ রিজওয়ান (৩৬) শুরুটা ভালো করেছিলেন। কিন্তু, বড় পার্টনারশিপ গড়তে পারলেন না। সাউদ শাকিল এই ম্যাচে ২৯ রান করেন। একদিক থেকে আগা সলমান দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, হাফসেঞ্চুরি করেই তিনি আউট হয়ে যান। আর সেইসঙ্গে ধুলোয় মিশে যায় পাকিস্তানের যাবতীয় প্রত্যাশা। সলমান এই ম্যাচে ৪৫ বলে ৫১ রান করেন।