সুলুর থেকে কুন্নুর যাওয়ার পথে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের চপার যেভাবে ভেঙে পড়েছে, তাতে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বার করা কঠিন বলেই বায়ুসেনা বিশেষজ্ঞদের মত। বায়ুসেনার প্রাক্তন কর্তাদের মতে, সুলুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে কুন্নুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজের মধ্যে প্রায়ই চপার চলাফেরা করে। তার মধ্যে ভিআইপি চপারও থাকে। ওই এলাকায় নীলগিরি পর্বতের উচ্চতাও বেশি নয়। কিন্তু জঙ্গল ও চা বাগানের মধ্যে পড়ে যাওয়ার পর যেভাবে এমআই-১৭ভিফাইভ চপারটিতে আগুন ধরে গিয়েছে, তাতে দুর্ঘটনার আসল কারণ খোঁজা কঠিন। প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্তারা বলছেন, ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, জ্বালানির ট্যাঙ্কার ভেঙে তেল বেরিয়ে আসায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বায়ুসেনার প্রাক্তন কর্তারা বলছেন, তদন্তের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। কারণ ঘটনাস্থলের কাছেই একটি গ্রাম ছিল। গ্রামের মানুষই প্রথম উদ্ধারকাজ শুরু করেন। বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধরি বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার নীলগিরির জঙ্গলে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে সেনার বিশেষ তদন্তকারী দল। হরিয়ানা এবং পুণে থেকে ডাকা হয়েছে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক কর্তাদের। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এনআইএ–কে। দুর্ঘটনার তদন্তে সেনাকে সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রাথমিকভাবে সেনা মনে করছে, খারাপ আবহাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ পাহাড়ি ওই এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছিল। একই সঙ্গে কপ্টারের জরুরি অবতরণের বিষয়টিকেও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। সেনার দাবি, আকাশে ওড়ার ১০ মিনিটে মধ্যে হয়তো কপ্টারে কোনও প্রযুক্তিগত ক্রটি ধরা পড়তে পারে। এই ব্যাপারে ডিজিটাল অ্যানালিসিস না করা পর্যন্ত কোনও উত্তর দেওয়া সম্ভব নয় বলেই দাবি ভারতীয় সেনার।