কোনও দল মুকুলপন্থী, তো কোনটা দিলীপমুখী, কোনওটা আবার রাহুলপন্থী তো আরেকটা তথাগতপন্থী। ফলে কে কার কথা শুনে চলবে তা নিয়েই বাঁধছে নিত্যদিনের কোন্দল। এ বলে আমি ওকে মানি না, সে বলে আমি তাকে মানব না। একই অবস্থা নেতানেত্রীদের মধ্যেও। আজ অগ্নিমিত্রা যা বলেন কাল তা নাকচ করেন লকেট, আবার আজ দিলীপ যা বলেন কাল তা ফুঃ দিয়ে উড়িয়ে দেন মুকুল। এই অবস্থায় এরা হুঙ্কার দিচ্ছে এরা নাকি ৭-৮ মাস বাদে বাংলার ক্ষমতা দখল করবে। নেট দুনিয়ায় এখন এটাই সব থেকে বড় ভাইরাল, তৃণমূলের দখলে বঙ্গ বিজেপি। আজ ফের বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগণা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ঘটনায়। প্রথমটি বসিরহাটের ও দ্বিতীয়টি বারুইপুরের। রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ বসিরহাটে বিজেপির তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল জেলা বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তারক ঘোষের। কিন্তু তিনি সেখানে পৌঁছনোর আগেই সভায় প্রবেশের মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয় বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার-সহ দলের কর্মী-সমর্থকরা। যুব মোর্চার অভিযোগ তৃণমূলের কথামতো দল চালাচ্ছেন সভাপতি। এই নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভাস্থল। বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপির দুই গোষ্ঠী। ক্রমেই তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। আবার দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুরে অনুপম হাজরা সঙ্গে কর্মীদের বৈঠকের মধ্যেই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মারামারিএ চেহারা নিল। অনুপম বেড়িয়ে যাবার পরই দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি মোট ১১জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে ৫ জনের আঘাত গুরুতর। ভাঙচুর করা হয়েছে বৈঠকস্থল। এক গোষ্ঠীর অভিযোগ পুরনো সদস্যদের সম্মান জানানো হচ্ছে না যদিও অপর গোষ্ঠীর অভিযোগ এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে। যদিও অপর গোষ্ঠীর অভিযোগ, এর পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে।