দাদু আর কাকা তাকে প্রায়ই ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ। এই খবর জানাজানি হতেই ধর্ষিতার মা বাড়ি বদল করেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হল না। দাদু আর কাকার হাত থেকে বাঁচলেও দু’বছর ধরে বাবার লালসার শিকার হতে হল তাকে। উত্তরপ্রদেশের এক কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তার বাবাকে। দাদু ও কাকার খোঁজ চলছে। কিশোরী দাদু, কাকা-বাবার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে থাকত। সেই সময় কাকা তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। পরে তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিল কিশোরীর দাদুও। কিশোরীর বাবা-মা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বাড়ির সদস্যরাই মেয়েকে লালসার শিকার বানাচ্ছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই কিশোরীকে নিয়ে তার বাবা-মা পুণেতে চলে আসেন। সেখানেই থাকতে শুরু করেন। কিন্তু এখানে এসে অন্য বিপত্তি শুরু হল কিশোরীর। অভিযোগ, কিশোরীর মা যখন বাড়িতে থাকতেন না, সেই সুযোগ নিয়ে কিশোরীকে তার বাবা ধর্ষণ করেন। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত লাগাতার দু’বছর ধরে বাবার লালসার শিকার হয়েছে সে বলে কিশোরীর অভিযোগ। সম্প্রতি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে ওই কিশোরী। কয়েক জনের সহযোগিতায় পুলিশের কাছে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে সে। তার পরই বুধবার কিশোরীর বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।