জেলা

প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কেকে’র মৃত্যুতে নজরুল মঞ্চের অব্যবস্থাকে দায়ী করলেন রাজ্যপাল

কেকে’র মৃত্যুতে এবার রাজ্যকে একহাত নিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অভিযোগ তুললেন চূড়ান্ত অব্যবস্থার ৷ পাশাপাশি বিচারপতিকে আক্রমণ প্রসঙ্গে ফের একবার সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন তিনি । শনিবার পাহাড় সফর শেষ করে দিল্লির উদ্দেশ্যে সস্ত্রীক রওনা দেন রাজ্যপাল । দার্জিলিং রাজভবন থেকে সড়ক পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন রাজ্যপাল । সেখান থেকে বিমানে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি । এদিন বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, “খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা । আমাকে অনেকে ওইদিনের একাধিক ভিডিও পাঠিয়েছে । আমি সেগুলো দেখেছি । আমি খুবই ব্যাথিত । এর থেকে চূড়ান্ত অব্যবস্থা হতে পারে না ৷ এর থেকে বড় প্রশাসনিক ব্যর্থতা হতে পারে না । আমরা যদি ওই বিষয় যাচাই করি, যে বিষয়গুলি সেদিন মেনে চলা উচিৎ ছিল । যদি ভীড় নিয়ন্ত্রণ করা হত, সংকটের সময় প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ করা উচিৎ ছিল । কিন্তু সব ব্যর্থ হয়েছে । এসব মানা যায় না। যাদের তদারকি করার কথা ছিল, তাদের কড়াভাবে জবাবদিহি করতে হবে ।” পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন রাজ্যপাল । সম্প্রতি হলদিয়ায় একটি জনসভায় হাইকোর্টের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ। সেই বিষয়ে এর আগেও কড়া আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালকে । এদিন ফের একবার ওই বিষয়ে সরব হন তিনি । এদিন তিনি বলেন, “গোটা রাজ্য ওই বিষয়টি দেখছে । যারা বুক পিটিয়ে বলছেন সত্যের ক্ষমতা তাদের এবার সত্যের সামনাসামনি হতে হবে । বুক পিটিয়ে কেউ বলছে, আমি ওই কথা এক হাজার বার বলব । আমি গোটা ভাষণ যাচাই করেছি । এটা একটা নিন্দনীয় আক্রমণ, নির্দিষ্ট একজন বিচারপতিকে, যে কি না দেশের সবথেকে বড় দুর্নীতি পরায়ণ চাকরি নিয়োগের খোলাসা করেছে । কাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, যারা মেরিট লিস্টে ছিল না, যারা পরীক্ষাই দেয়নি । শুধু মাত্র ভাই, ভাইপোর খাতিরে চাকরি দেওয়া হয়েছে । এমন পরিস্থিতিতে একটি জনসভায় ওই ধরণের মন্তব্য করা কোনভাবেই উচিৎ নয় । আর আদালতের রায়ের পর সেটিকে নিয়ে উল্লাস করাটা ভুল ধারণা । আমি মুখ্যসচিব-সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি সিআরপিসি ও আইপিসি ধারা অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে ।”