কলকাতা

হনুমান আগুন লাগিয়েছিলেন ধর্মের জন্য, এরা আগুন লাগিয়েছে অধর্মের জন্য, হাওড়া কাণ্ডে কড়া বিবৃতি রাজ্যপালের

‘হনুমান লঙ্কায় আগুন লাগিয়েছিলেন ধর্মের জন্য, এরা আগুন লাগিয়েছে অধর্মের জন্য’। হাওড়াকাণ্ডে এবার কড়া বিবৃতি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।  পরিস্থিতি উপর নজর রাখার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করলেন রাজভবনে।  হাওড়া সহ রাজ্যে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে যে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইতিমধ্যেই গোপন আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজভবন থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে এমনই দাবি করেছেন রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল। তিনি জানান, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে এবং কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে তার ওপর নজরদারি করতে রাজভবন একটি স্পেশাল সেল তৈরি করেছে। রাজ্যপাল তার বিবৃতিতে বলেন ,ধর্ম রক্ষা করতে হনুমান লঙ্কায় আগুন লাগিয়েছিলেন আর রামনবমীর দিন এখানে যারা আগুন লাগাল তারা পরোচনামূলক কাজ করেছে। ওই বিবৃতিতে রাজ্যপাল আরও বলেন , এখানে মানুষকে বোকা বানাতে যারা আগুন লাগালেন তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। রাজ্যপাল স্পষ্ট দাবি করেছেন ,তার সঙ্গে ইতিমধ্যে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের আলোচনা হয়েছে। শান্তি রক্ষায় এবং সাধারণ মানুষ এর জীবন রক্ষা করতে যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করার তা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বলে তাকে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি দাবী করেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার গোপন আলোচনায় রাজ্যে সাধারন মানুষের জীবন রক্ষা করতে, রাজ্য সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যপাল তার বিবৃতিতে এই রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা কখনোই সঠিক পদক্ষেপ নয় এবং সাধারণ মানুষের ওপর এবং সম্পত্তির ওপর আক্রমণের তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন। তার স্পষ্ট অভিযোগ, মানুষকে বোকা বানাতে পারবে ভেবে হিংসার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, শুক্রবার বিকেলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছ থেকে টেলিফোনে গোটা পরিস্থিতি জেনে নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজভবনের রাজ্যপালের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন এবং অতি দ্রুত তাকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন । এরপরই শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে রাজভবনে ডেকে পাঠানো হয়। এরপর শুক্রবার রাতেই রাজভবনের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে শিবপুর কাণ্ডে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

সূত্রের খবর, হাওড়া পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে আলোচনা করেছে রাজ্যপাল। রাজ্যকে তাঁর নির্দেশ, এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ঠিক থাকে এবং দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাজ্যপালকে যথাযথ ব্যবস্থার নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে হাওড়ার জিটি রোড লাগোয়া কাজিপাড়া থেকে সন্ধ্যাবাজার পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন ১৪৪ ধারার আওতায়। পুলিসের তরফে এলাকায় মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,দু’‌জন থেকে তিনজনের বেশি ব্যক্তি এক জায়গায় জড়ো হলে বা চলাফেলা করলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ গ্রেফতার করবে। মোতায়েন প্রচুর পুলিস ও RAF।