কলকাতা

হরিদেবপুরে আগুন লাগার ঘটনায় নয়া তথ্য পেল পুলিশ

নিজের মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার গ্রেফতার হয়েছিলেন গর্ভধারিনী মা ও তাঁর প্রেমিক। মায়ের প্রেমিক হলেন একজন পুলিশ কর্মী। পুলিশ মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু পুলিশের দাবি এই ঘটনা তদন্তে নেমে অফিসাররা জানতে পারে মেয়ে যে বয়ান দিয়েছেন তা পুরোপুরি সাজানো ও মিথ্যা। মায়ের সাথে মেয়ের যেহেতু বনিবনা ছিল না, তাই মাকে ফাঁসাতেই নিজেই ঘরে আগুন লাগিয়েছিলেন এবং এক পুলিশ কর্মীর সঙ্গে প্রেমিক তার মা কথোপকথন করছেন এই রকম whatsapp চ্যাট নিজেই মায়ের টেলিফোন নিয়ে তৈরি করেছিলেন। ওই মেয়ের এই ধরনের মিথ্যা পরিকল্পনা তৈরি করার ঘটনাতে তাকে আটক করেছে পুলিশ ।ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার হরিদেবপুরের মতিলাল গুপ্ত রোডে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। হরিদেবপুরের একটি ফ্ল্যাটে মঙ্গলবার আনুমানিক ভোর চারটে নাগাদ আচমকাই আগুন লাগে। সেই ফ্ল্যাটেই ১৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন অভিযুক্ত মহিলা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল ও হরিদেবপুর থানার পুলিশ। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে বিস্ফোরক কিছু তথ্য আসে। এদিন দুপুরে হঠাৎই থানায় হাজির হয় ওই ১৬ বছরের নাবালিকা। সে দাবি করে, তার মা তাকে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করেছিলেন। প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজস করেই এই ছক কষা হয়েছিল। ওই নাবালিকার কথায়, এদিন ভোরে যখন বাড়িতে আগুন লাগে তখন তার মাকে বাথরুমে কারওর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে শুনেছে। তার মা ফোনে বলে, ‘ঘরে আগুন লাগানো গেলেও মেয়েকে মারা যায়নি, সে বেঁচে গেছে।’ কে ছিলেন ফোনের ওপারে? ওই নাবালিকার কথায়, মায়ের কথা শোনার পরই তাঁর ফোন ঘেঁটে দেখে সে। সেই ফোনে একজনের সঙ্গে চ্যাট পড়ে জানতে পারে মায়ের প্রেমিকের সঙ্গেই আলোচনা করে তাকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই চ্যাট(Chat) থেকেই নাবালিকা জানতে পারে যে, কয়েক মাস আগে একটি ডেটিং অ্যাপে অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় এক যুবকের। সেই আলাপ ক্রমশ গড়ায় প্রেমে। দু’জনের মধ্যে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। ওই যুবক পেশায় একজন পুলিশকর্মী। তাঁদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই নাবালিকা।মেয়েটির অভিযোগ পেয়েই তার মা ও প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, প্রেমের পথের কাঁটা মেয়েকে হটাতে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু মেয়ের এই বয়ন অনুযায়ী ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে উঠে আসে আসল তথ্য যেখানে দেখা যায় মাকে ফাঁসাতেই মেয়ে এই মিথ্যা ঘটনাটি তৈরি করেছিল এবং নিজেই আগুন লাগিয়েছিল ওই ফ্ল্যাটে।