এসএসসি-তে নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বাগ কমিটির রিপোর্ট গ্রহণ করল এবং সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপের দরকার নেই বলেই জানালো ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের ১১১ পাতার নির্দেশনামায় যা বলা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিলেন অর্থাৎ যে যে মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেগুলি সবই বহাল থাকবে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে যাদেরকে বেতন ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাও বহাল থাকছে বলেই জানা গেছে। এছাড়াও বলা হয়েছে, সিঙ্গেল বেঞ্চ যে পর্যবেক্ষণ রেখেছিল তাঁর সঙ্গে অনেকক্ষেত্রেই সহমত ডিভিশন বেঞ্চ। এর পিছনে মানিট্রেলের যে বিষয়টি মনে করেছে সিঙ্গেল বেঞ্চ সেই বিষয়ে সহমত ডিভিশন বেঞ্চ। তারাও মনে করছে যে এর পিছনে আর্থিক লেনদেন রয়েছে কিনা তা দেখা দরকার। ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে যে এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে একক বেঞ্চের নির্দেশে কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে তারা। একইসঙ্গে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি বিষয় বাগ কমিটি যে রিপর্ট দিয়েছিল সেই পরামর্শ আদালত গ্রহণ করছে এবং রিপোর্টটি একক বেঞ্চে পেশ করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। এসএসসি-র তরফে বলা হয় একক বেঞ্চের নির্দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে এবং একপেশে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসএসসি-র এই বক্তব্যের সঙ্গে কোনওভাবেই একমত নয় আদালত। গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং এফআইআর দায়ের করা হয়। এসএলটি নবম দশমের ইংলিশ বিষয়ক মামলায়ও এফআইআর দায়ের হয়। এই দুটি ক্ষেত্রেই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই। এছাড়াও চারটি ক্ষেত্রে অনুসন্ধানেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এসএলটি নবম দশমে অঙ্ক, ইতিহাস, বাংলা, ইংরাজি এই চারটি ক্ষেত্রে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনুসন্ধান চলবে বলে জানা গেছে। এরমধ্যেই অঙ্ক বিষয়ক মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই বিষয়েও মঙ্গলবার অবধি স্টে অর্ডার ছিল। বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচ আর থাকল না।


