🔵 ক্ষমতায় এলে সপ্তম বেতন কমিশনের সুবিধা পাবেন
🔵 ক্ষমতায় এলে ৪ লাখ মৎস্যজীবীকে কিষাণ নিধির সুবিধা
🔵 ক্ষমতায় এলে সরকারি চাকরিতে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দেব
🔵 পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার তৈরি হলে এখানেও ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজ হবে
🔵 সাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক মেলা করা হবে
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সেভাবে পদ্ম ফোটাতে পারেনি বিজেপি। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আধিপত্য বৃদ্ধি করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নামখানা থেকে বিজেপির শেষ অর্থাৎ পঞ্চম ‘পরিবর্তন যাত্রা’-র (রথযাত্রা) সূচনা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নামখানায় অমিত শাহের সভায় আকস্মিক বিশৃঙ্খলা। সভামঞ্চে উঠেই কালো পতাকা দেখালেন চার-পাঁচজন। সেই পতাকায় লেখা ছিল ‘গো ব্যাক অমিত শাহ’। পরে বিজেপি-র কর্মীরা মঞ্চ থেকে তাঁদের নামিয়ে দেন। গঙ্গাসাগরের উন্নয়ন থেকে নমামি গঙ্গে এবং পে কমিশন প্রয়োগ, এদিনের মঞ্চ থেকে বঙ্গবাসীর জন্য একাধিক ঘোষণা করলেন শাহ। শাহ বলেন, তৃণমূল শুধু ভাইপোর কল্যাণের কথাই ভাবে। এর তদন্ত চাই। আমফানের পর কেন্দ্র সরকার যে টাকা পাঠিয়েছিল তা তৃণমূলের নেতারা খেয়ে ফেলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কোনও কাজ হয়নি। ২৯৪ আসন থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করব। সোনার বাংলা গড়ার কাজ করবে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার তৈরি করুন, তাহলে ডবল ইঞ্জিন সরকার বাংলার পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারবে। ক্ষমতায় এলেই সপ্তম বেতন কমিশন, সাগরের সভায় ঘোষণা করলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, আজ আমার জন্য সৌভাগ্যের দিন, গঙ্গাসাগরের পবিত্র স্থানে উপস্থিত হতে পেরে আমি ভাগ্যবান। এই জন্যই কথায় বলে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার তৈরি হলে এখানেও ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজ হবে। আমি সুনিশ্চিত করব, পশ্চিমবঙ্গে সরকার তৈরির পর পর্যটন সংক্রান্ত সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্প যাতে এখানে কার্যকর হয়। বিশ্বের কাছে এই স্থানের মাহাত্ম্য তুলে ধরা হবে।পরিবর্তন যাত্রা বাংলার সব বিধানসভা কেন্দ্রে যাবে। সারা রাজ্যে ১৫০০-এর বেশি সভা। প্রতিটি স্থানে মিছিল হবে। এই বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ার লড়াই লড়বে বিজেপি। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়বে বিজেপি। তিনি এও বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে সমুদ্রজাত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে। গঙ্গাসাগরের মেলাকে আন্তর্জাতিক মেলা হিসাবে ঘোষণা করার কাজ করবে বিজেপি। শিক্ষক ভাইদের বলতে চাই যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে বেতনের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। সরকারি চাকরিতে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দেবে বিজেপি।নির্বাচনের দিন রাস্তায় একজনও তৃণমূলের গুণ্ডা দেখা যাবে না। ক্ষমতায় এলে মৎস্যজীবীদের বছরে ৬ হাজার টাকা। ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে সবরকম অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া হবে, একটা পায়রাও ঢুকতে পারবে না। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমফান দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হবে। যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁদের জেলে পাঠানো হবে। মোদি সরকার প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। ক্ষমতায় এলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়তে ‘জিরো ক্যাসুয়াল্টি টাস্ক ফোর্স’ তৈরি করব।