সম্পাদকীয়

দিদিকে রুখতে আর কতবার বঙ্গ-সফর মোদির?

ইতিহাসে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী এত বার কোন রাজ্যে ভোট প্রচারে এলেন

নিবেদিতা শেঠঃ ২৯৪ টা আসনের জন্য ২৯৪ টা সভা হলে মন্দ হত না বিষয়টা। কিন্তু হল কোথায়? দিল্লির সব কাজ ছেড়ে আর কতবার আসবেন বলুন তো মোদী বাবু? তাই কিছু কমই হবে। তবু আট দফা ভোটে কমপক্ষে ৮০ টা তো হোক বঙ্গসফর! দিকে দিকে চলছে বঙ্গভোটের জমজমাট প্রচার। আর এই প্রচারে পাল্লা দিয়ে নেমে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদি আর সেনাপতি অমিত শাহ। আজ মোদি রাজ্যে, তো কাল মোদীর সেনাপতি। এভাবেই সেই প্রথম দফা ভোটের আগে থেকেই শুরু হয়েছে বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার অল্টারনেটিভ বঙ্গসফর। হিসেব বলছে, প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গসফরের ইতিহাস ঘাটলে এমন উদাহরণ বেনজির বলা যায়। গত উদাহরণ

৪০ দিন, ১৬ সফর, ৩৪ টা জনসভা

বেনজির বলা যায়। গত লোকসভা নির্বাচনেও এমন ডেইলি প্যাসেঞ্জারি চোখে পড়েনি মোদি-শাহের। তাছাড়া অন্য আরও চার রাজ্যের ভোটও তো চলছে। সেখানে মোদি-শাহের প্রচারের ঘনঘটা দেখা যায়নি তো। তবে কী যত প্রতিদ্বন্দ্বিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সোনার বাংলার নামে ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়তে এরাজ্যের জেলায় জেলায় সভা আর রোড শো চলছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। দফায় দফায় সভা আর নিশানায় একটাই নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনীতির ময়দানে লড়াইয়ে খানিকটা হিমশিম খাচ্ছেন না তো ওনারা। তৃতীয় দফা থেকে আবার নতুন পরিকল্পনা চলছে বিজেপির। ভোটের দিনগুলোতে অন্য দফার ভোট প্রচারে রাজ্যে স্বয়ং হাজির হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আর অন্য দিনগুলোতে অমিত শাহ, নাড্ডা, যোগীরা তো আছেনই প্রক্সি দিতে। আর তুরুপের তাস মিঠুন চক্রবর্তী তো দিকে দিকে রোড শো করেই চলেছেন। দিদিকে রুখতে বিজেপির হেভিওয়েটদের বঙ্গভূমিতে এহেন বিচরণ সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ।