জেলা

‘চাই ১০০ শতাংশ কাজ, সরকারি কাজে ঢিলেমি নয়’, কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা আবহের মধ্যেও উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মঙ্গলবার উত্তরকন্যার বুকে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক পর্যবেক্ষন বৈঠকে দফতর ধরে ধরে তাঁকে খোঁজখবর নিতে যেমন দেখা গেল তেমনি জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সুস্পষ্ট নির্দেশ দিতেও দেখা গেল। একই সঙ্গে সামনের উত্‍সব মরশুমে যাতে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে বিন্দুমাত্র শিথিলতা না থাকে সেই বিষয়টিও দেখতে বলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নজরদারির বিষয়টি যাতে কোনও ভুয়ো ঘটনা তুলে ধরে এলাকায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে না পারে। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন উত্তরবঙ্গে। আর এদিন তিনি উত্তরকন্যাতেই জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে ওই দুই জেলার জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, বিডিওরা ছাড়াও হাজির ছিলেন সব বিধায়কেরাও। ছিলেন দুই জেলার জেলা সভাধিপতিরাও। বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী কামতাপুর ও রাজবংশীদের উন্নয়ন বোর্ডের জন্য ৫ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করেন। তারপরেই মূল বৈঠকে চলে যান তিনি। সেখানে নানান দফতরের কাজকর্ম ধরে ধরে পর্যালোচনা করেন। শ্রম দফতরের কাজ নিয়ে তাঁর কাছে এক আধিকারিক কিছু কড়া কথাও শোনেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জোর দেন সাধারন মানুষের যাতে কোনও আবেদন আটকে না পড়ে থাকে তা দেখার ক্ষেত্রে। তা সে কাস্ট সার্টিফিকেট হোক কী পাট্টার বিষয়। এমনকি সবুজসাথী সাইকেল, কন্যাশ্রী ও শিক্ষাশ্রীর সার্টিফিকেট দিতে বা ওই দুই প্রকল্পে

নতুন কারোর নাম ঢোকানোর ক্ষেত্রে যাতে কোনও গড়িমাসি না হয় সেই বিষয়টি দেখতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইন্সপেক্টর রাজ কমাতে হবে। জোর করে কোনো কাজ আটকানো যাবে না। কারো পেনশন আটকানো যাবেনা। কাস্ট সার্টিফিকেট দিতে দেরি নয়। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি বলেন করোনা নিয়ে পুজোয় বিশেষ সর্তকতা নিতে হবে।কোভিড যোদ্ধাদের জন্য আমি গর্বিত। করোনা নিয়ে কখনোই ঢিলেমি নয়। এরপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু প্রকল্পের ঘোষণা করে বলেন, চা বাগানের শ্রমিকরা পাকা বাড়ি পাবেন। তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। কামতাপুরী ভাষা একাডেমীর জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি জানান, রেশন নিয়ে যে কোনো অভিযোগের সমাধান করতে হবে। কোনো রকম গাফিলতি হলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উদ্বাস্তুদের জন্য সেল্ফ ডিক্লারেশন সার্টিফিকেট দিলেই যথেষ্ট। অন্য কোনো সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে না।উদ্বাস্তুদের জমির মালিকানা দিতে আইন পাস করা হচ্ছে। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য প্রথম ধাপে ৩৬৯৪ বাড়ি তৈরি করা হবে। এই দিনের বৈঠকে বেশকিছু প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/746565809529494