আজ বঙ্গ রাজনীতিতে হাইভোল্টেজ জনসভা। একদিনেই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি উত্তর এবং দক্ষিণে সভা রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একই জেলায় এগরায় সভা রয়েছে অমিত শাহেরও। শিশির-শুভেন্দু গড়ে সভা থেকেই মমতার নিশানায় ছিল এই দুই নেতা। রবিবারও শুভেন্দু-শিশিরকে ‘গদ্দার, মীরজাফর’ বলে উল্লেখ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আমাকে আগে কাঁথিতে মিটিং করতে দেওয়া হত না, এগরায় মিটিং করতে দেওয়া হত না। আগে ওগুলো একজনের জমিদারি ছিল। যাঁরা ওদের কথা শুনবে তাঁরাই থাকবে, যাঁরা শুনবে না, থাকবে না, এটাই ছিল নিয়ম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাঁথি আমার বড় সাথী। ভোট দিন গদ্দারদের বিরুদ্ধে, মির্জাফরদের বিরুদ্ধে। বিজেপি একটা ডাকাত পার্টি, সিপিএমের হার্মাদ আর আমাদের কিছু গদ্দাররা জুটেছে। মেদিনীপুরের মানুষেরা অনেক কাজ করে। পালিয়ে গিয়েছে যাঁরা গদ্দারি করে, তারা কত নিয়েছে জিজ্ঞাসা করুন। ওই মির্জাফরের দল হাত ধরে বিজেপি-কে নিয়ে এসেছে। এদের থেকে বড় গদ্দার আর কেউ হতে পারে না। এদের হাত থেকে মেদিনীপুরকে মুক্ত করতে হবে। শুভেন্দুর নাম না নিলেও এদিন মমতা যুক্তি দিয়ে-দিয়ে বলেন, ‘একসময় খুব ভালোবাসতাম। কী না করিনি। ২০১৪ সাল থেকে নাকি বিজেপির সঙ্গে যোগ ছিল। মানে নিজের ঘরেই সিঁধ কেটেছে। এর থেকে বড় গদ্দার আর কেউ হয় না। এদের মেদিনীপুর থেকে তাড়াতে হবে। উচ্ছেদ করতে হবে। তিনি বিরোধীদের তুল ধোনা করে বলেন, সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি, জগাই, মাধাই গদাই। তিনটেকেই বিদায় দিন। জিজ্ঞাসা করুন, কেন গ্যাসের দাম বাড়ছে। কেন পেট্রোলের দাম বাড়ছে। কয়েকটি কোটিপতি আপনাদের সব লুটে নিয়ে চলে যাবে। বিজেপি ভোট চাইলে জিজ্ঞাসা করুন, রেল, কোল, এয়ার ইন্ডিয়া, কেন বিক্রি হচ্ছে? আমি আসলে একটা গাধা। ওঁরা সব করে খেলেও আমি বুঝতে পারিনি। বিজেপি এখন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। সেই টাকা থেকে গুণ্ডা পোষে। টাকা দিয়ে ভোট দেবেন না। তিনি এও বলেন, এক পা দিয়ে বল মারলে সবাইকে বোল্ড আউট করে বের করে দেবে। আমার দুটো করে পা মা বোনেদের আছে, তাঁদের পা চলছে আমার সঙ্গে। মা বোনেদের পায়ের উপর ভর করেই আমি চলব।