এখন থেকে পঞ্চায়েত বা পুরসভা এক লক্ষ টাকা মূল্যের কোনও কাজ করতে চাইলেও বাধ্যতামূলকভাবে ই-টেন্ডারিং করতে হবে। শুধু কাগজে বিজ্ঞাপন দিলে হবে না, রাজ্য সরকারের নিজস্ব টেন্ডার পোর্টালে ই-টেন্ডার ডাকতে হবে। সরকারি কাজে ঠিকাদারি নিয়ে দলবাজী ও দুর্ণীতি বন্ধে এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ সরকার। শুধু তাই নয়, টেন্ডারের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য রাজ্যের অর্থ দফতরের এই নয়া নিয়ম বলেই আধিকারিকদের ব্যাখ্যা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামাঞ্চলে ঠিকাদারি নিয়ে রাজ্যের শাসক দল একটা স্বচ্ছভাবমূর্তি সামনে আনতে চাইছে। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই রাজ্যের অর্থ দফতরের ই টেন্ডার প্রক্রিয়া বিভিন্ন জায়গায় স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার এই নয়া সিদ্ধান্ত নবান্নের। রাজ্যের অর্থ দফতরের(Finance Department) প্রধান সচিব মনোজ পন্থের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব সরকারি দফতর, সরকারি সংস্থা, স্বয়ংশাসিত সংস্থা, পঞ্চায়েত, পুরসভা এবং পুরনিগম প্রভৃতির ক্ষেত্রে এবার থেকে যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশি খরচ ধরা হলে তার জন্য ই-টেন্ডার ডাকতে হবে। ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশি মূল্যের যেকোনও টেন্ডারের নোটিস সরকারের ই-টেন্ডার পোর্টালে দিতেই হবে। ই-টেন্ডার বাধ্যতামূলক হওয়ায় এবার থেকে আর গোপনে কোনও টেন্ডার ডাকা যাবে না। তাতে পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করে গত মাসে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল অর্থদফতর। এবার কিন্তু রীতিমত নির্দেশ এল। ফলে গ্রামাঞ্চলে টেন্ডার সংক্রান্ত দুর্নীতি এবার কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে এক বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের।