দেশ

বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করাই লক্ষ্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির পর সরব ইন্ডিয়া জোট

ইডির তলব “বেআইনি” ও “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”, বলেছিলেন আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর গ্রেপ্তারির পর সেই সুর শোনা গেল ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের কণ্ঠেও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারির পর এক্স হ্যান্ডেলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি বিরোধী জোটের নেতানেত্রীরা।কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর কথায়, “একজন আতঙ্কিত স্বৈরাচারী শাসক মৃত গণতন্ত্র দেখতে চায়। দলে ভাঙন ধরানো, প্রধান বিরোধী দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেও এরা থামেনি। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করতে হল। ইন্ডিয়া এর জবাব দেব শিগগিরই।” আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির তলব “বেআইনি” ও “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”, বলেছিলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর গ্রেপ্তারির পর সেই সুর শোনা গেল ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের কণ্ঠেও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারির পর এক্স হ্যান্ডেলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি বিরোধী জোটের নেতানেত্রীরা।কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর কথায়, “একজন আতঙ্কিত স্বৈরাচারী শাসক মৃত গণতন্ত্র দেখতে চায়। দলে ভাঙন ধরানো, প্রধান বিরোধী দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেও এরা থামেনি। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করতে হল। ইন্ডিয়া এর জবাব দেব শিগগিরই।” সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব লিখেছেন, “যাদের হেরে যাওয়ার ভয় রয়েছে, তারা অন্যকে বন্দি করে এর বেশি আর কী করবে। বিজেপি জানে, তারা ক্ষমতায় আর ফিরবে না। সেইজন্য ভোটের মুখে বিরোধীদের সরিয়ে দিতে চাইছে। গ্রেপ্তারি জাস্ট একটা ইস্যু। এর থেকে আরও বিপ্লবের জন্ম হবে।”কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেল লেখেন, “বিজেপিতে যোগ না দিলেই জেলে যেতে হবে। আমরা সবাই স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে।”সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির কথায়, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির তীব্র প্রতিবাদ করছি। এটা স্পষ্ট, বিজেপি এবং মোদি জনগণের প্রত্যাখ্যান ঘিরে আতঙ্কে রয়েছেন। যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁরাই কেবল সুরক্ষিত। ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় বিজেপির বিরোধীতায় ভারতবাসী এবার একজোট হবে।”এনসিপি – এসসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলের বক্তব্য, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে আছি। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে বিজেপির কথায় ইডি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।” শরদ পাওয়ার লেখেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপের কারণে “ইন্ডিয়া” একজোট থাকবে।”তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের বক্তব্য, “ভোটের আগে, এক দশকের ব্যর্থতা ঘিরে আতঙ্কে ফ্যাসিস্ট বিজেপি সরকার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করাল। যারা সংবিধানের অবমাননা করে, সেই দলের কেউ গ্রেপ্তার হন না।”তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন লিখেছেন, “নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই এই পদক্ষেপ! রাজনৈতিক দলের প্রধান, মুখ্যমন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, নির্বাচনী এজেন্ট, কর্মী, সমস্ত বিরোধীরাই নিগৃহীত ও গ্রেপ্তার হয়ে চলেছেন। আমাদের গণতন্ত্রের কী হবে? আসুন এই বিপর্যয় থেকে গণতন্ত্রকে বাঁচাই।”কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কথায়, “এই গ্রেপ্তারি সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। দেশের রাজনীতির মানকে এভাবে নামিয়ে আনা প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারকে মানায় না।”আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের বক্তব্য, “এই গ্রেপ্তারি প্রমাণ করছে, বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইয়ের পরিবর্তে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সাহায্য নিয়ে ভোটে জিততে চাইছে বিজেপি।”
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মন্তব্য, “দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারির তীব্র প্রতিবাদ করছি। ভোটের আবহে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতেই এই পদক্ষেপ।”