খেলা

জিম্বাবোয়েকে ৭১ রানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়া

সূর্ষকুমার যাদবের অসাধারণ ব্যাটিং ও দ্বিতীয় ইনিংসে বোলারদের অপূর্ব বোলিংয়ের সৌজন্যে সুপার ১২-এর ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে ৭১ রানে হারিয়ে দিল ভারত ।  এর ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। অন্যদিকে প্রথম ভারতীয় হিসেবে টি-২০ ম্যাচে এক বছরের মধ্যে ১০০০ রান করে ফেললেন সূর্যকুমার যাদব।রবিবার মেলবোর্নে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও জিম্বাবোয়ে। প্রথম ইনিংসে সূর্যকুমার যাদবের ২৫ বলে ৬১ রানের ঝোড়ো ব্যাটিং ও লোকেশ রাহুলের ৩৫ বলে ৫১ রানের সুবাদে ১৮৬ রান করে ভারত। জয়ের জন্য ১৮৭ রানের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ঝটকা খায় জিম্বাবোয়ে। প্রথম বলেই জিম্বাবোয়ের এক ওপেনার ওয়েলসে মাধেবেরকে আউট করে দেন দীর্ঘদিন ধরে ভারতের হয়ে খেলা ভুবনেশ্বর কুমার। এরপর ব্যাট করতে পিচে আসেন জিম্বাবোয়ের রেগিস চাকাভা। কিন্তু, পরের ওভারেই তাঁকে আউট করে ডেসিংরুমে ফেরত পাঠান ভারতীয় বোলার অর্শদীপ সিং। এর ফলে মাত্র ২ ওভারে জিম্বাবোয়ের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় দু রানে ২ উইকেটে। এরপরই কিছুটা রুখে দাঁড়িয়ে হাত খুলে মারতে শুরু করেন জিম্বাবোয়ের আরেক ওপেনার ক্রেগ ইরভাইন। কিছুক্ষণ অন্তর অন্তরই বাউন্ডারির বাইরে বল পাঠাতে থাকেন তিনি। কিন্তু, দ্বিতীয় ইনিংসের ৬ নম্বর ওভারে বিশ্বমানের একটি বল করে ১১ বলে ১৮ রান করা শন উইলিয়ামকে ডেসিংরুমে ফেরান মহম্মদ সামি। ৭ নম্বর ওভারের ৪ নম্বর বলে জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ক্রেগ এরভিনকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন হার্দিক পান্ডিয়া। এর ফলে জিম্বাবোয়ের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩১ রানে। আট নম্বর ওভারে ফের দাপট দেখান সামি। তাঁর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয় টনি মুনিওঙ্গাকে। আর ১৩.২ ওভারে ৯৬ রানের মাথায় ডেসিংরুমে ফিরতে হয় আক্রমাত্মক হয়ে ওঠা রায়ান বার্লকে। জিম্বাবোয়ের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৯৬ রানে। ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ফেরান রবিচন্দন অশ্বিন। আর পাঁচ নম্বর বলে ফেরেন রিচার্ড এনগারাভাকে। এর ফলে আট উইকেট হারিয়ে ১০৬ রানে পৌঁছায় জিম্বাবোয়ে। ১৭ ওভারে ২৪ বলে ৩৪ রান করা সিকন্দর রাজাকে আউট করেন হার্দিক পান্ডিয়া। এর ফলে ১১১ রানে ৯ উইকেট পড়ে যায় জিম্বাবোয়ের। আর ১৮তম ওভারে চেন্ডাই চাতারাকে ফিরিয়ে দেন অক্ষর প্যাটেল। আর ১১৫ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবোয়ের ইনিংস।