রবিবার সকালেই বাংলাদেশকে ১৮৮ রানে হারিয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে নিল ভারত। আর প্রথম টেস্ট জেতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে গেল লোকেশ রাহুলরা। শুক্রবার চতুর্থ দিনের শেষে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের রান ছিল ২৭২। ক্রিজে ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। দুজনে জুটি বেঁধে ৩৪ রান যোগ করেছিলেন। জয়ের জন্য শেষ দিনে টাইগারদের দরকার ছিল ২৪১ রান। আর সফরকারী দলের প্রয়োজন ছিল চার উইকেট। এদিন সকালে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটার। চার মেরে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মেহেদি হাসান। কিন্তু বেশিক্ষণ টিঁকতে পারেননি। মহম্মদ সিরাজের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ডে উমেশ যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসান। ৪৮ বলে ১৩ রান করেন তিনি। তখনই হার নিশ্চিত হয়ে যায়। তবুও তাইজুল ইসলামকে নিয়ে একটা লড়াই চালানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব। তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের শেষ ভরসা। ভারতীয় বোলারদের শাসন করতে আচমকাই মারমুখী হয়ে ওঠেন। নিজের অর্ধ শতরান পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে কুলদীপ যাদবের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরে আসেন তিনি। টাইগার অধিনায়কের ১০৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংস ছয়টি চার ও ছয়টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল। শেষ ভরসা সাকিব আউট হতেই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে যায়। টাইগার অদিনায়ক ফেরার পর মাত্র চার রান যোগ হতে না হতেই সাজঘরে ফেরেন এবাদত হোসেন, তাইজুল ইসলাম। ৩২৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। সফরকারী দলের পক্ষে সবাধিক উইকেট নিয়েছেন অক্ষর পটেল। ৭৭ রানে চার উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। আর কুলদীপ যাদব ২০ ওভার বল করে ৭৩ রানে তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন।