রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করে জ্বালানি বাণিজ্যে ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড’ অবলম্বনের জন্য ইউরোপের সমালোচনা করেছে ভারত। ইইউ তাদের ১৮তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের আওতায় গুজরাটের ভাদিনার শোধনাগারকে টার্গেট করেছে। তেল শোধনাগারটি পরিচালনা করে নায়ারা এনার্জি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তেল শোধনাগারে রাশিয়ার তেল কোম্পানি রসনেফটের ৪৯.১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় রাশিয়ার ওপর বিশেষ করে তার জ্বালানি বাণিজ্যের ওপর নতুন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ভারত একতরফা নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপকে সমর্থন করে না। এই আবহে ইউরোপের দ্বিচারিতা ইস্যুতে সরব হয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঘোষিত বিধিনিষেধের বিষয়টি আমরা নোট নিয়েছি। ভারত কোনও একতরফা নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করে না। আমরা একটি দায়িত্বশীল জাতি এবং আমাদের আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পূর্ণরূপে মেনে চলি। আমাদের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণে জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টি একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে জ্বালানি বাণিজ্যে দ্বিচারিতা গ্রহণযোগ্য নয়।’ উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৮তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ ঘোষণা করে, যার লক্ষ্য রাশিয়ার তেল ও জ্বালানি খাতকে টার্গেট করা। এই প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের সর্বোচ্চ দাম ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার থেকে কমিয়ে ৪৭ দশমিক ৬ ডলার করা, যাতে রাশিয়ার আয় কমে যায়। এছাড়াও, ইইউ রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ (পুরানো তেল ট্যাঙ্কারগুলির একটি গ্রুপ) এবং ভারতীয় শোধনাগার নায়ারা এনার্জিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে।


