দুর্গোৎসবে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে কলকাতা পুলিশের বৈঠকেও উঠে এল আরজি কর প্রসঙ্গ ৷ আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বুধবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে কলকাতা পুলিশের বৈঠকে হয় ৷ সেখানেই উঠে এসেছে আরজিকর প্রসঙ্গ। এদিন পুজোর উদ্যোক্তাদের মধ্যে একাংশের প্রশ্ন ছিল, যদি কোনও রকমের অশান্তি হয়, সেক্ষেত্রে তারা কী করবেন ? এই বিষয়ে পরে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা বলেন, “কোনও সমস্যা হলে জানান, কোন ঘটনা ঘটলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করেছি পুজো কমিটিগুলিকে।” আসন্ন দুর্গোৎসবে যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্যই কলকাতা পুলিশের সঙ্গে পুজো উদ্যোক্তাগুলির এদিন বৈঠক ছিল। দক্ষিণ কলকাতার একটি নামকরা পুজোর তরফ থেকে এদিন বৈঠকে সরাসরি কলকাতা পুলিশের দিকে আরজি কর প্রসঙ্গে প্রশ্ন ছোড়া হয়। বলা হয়, যদি কোনও দল পুজোয় ঢুকে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করে, যদি মণ্ডপের ভিতর ‘we want justice’ স্লোগান উঠতে থাকে এবং পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়, সে ক্ষেত্রে কী করণীয় ? এই বিষয় লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের প্রতিটি ডিভিশনাল ডিসি এবং থানার অফিসার ইনচার্জদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলাদাভাবে বিষদে বৈঠক করবে কলকাতা পুলিশ কমিশনার। এছাড়াও পুজো উদ্যোক্তাগুলিকে পুলিশের তরফ থেকে বিশেষভাবে জানানো হয়েছে, যাতে পুজো মণ্ডপের অতিরিক্ত প্রবেশ এবং বাইরে বেরনোর গেট থাকে। আপদকালীন পরিস্থিতি হলে তারা যেন সঙ্গে সঙ্গে থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রত্যেক পুজো মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা বাধ্যতামূলকও বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।