স্বাধীনতা দিবসের দিন স্ত্রী হাতির মৃত্যু হল বলে অভিযোগ। আগুনের গোলা ও জ্বলন্ত গরম লোহার বল্লম ছুঁড়ে সারাদিন নির্মম ভাবে হাতিটির উপর অত্যাচার চালানো হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। স্থানীয়রা জানান, একটি হাতির পায়ে এবং কোমরে ঢুকিয়ে দেওয়া হল গরম লোহার বল্লম। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গুরুতর আহত হাতিটির রাতে মৃত্যু হয়। আরও একটি হাতি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে বলে জানা গিয়েছে। ঝাড়গ্রামের ঘটনায় শিউরে উঠছেন সাধারণ মানুষ। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের সকালে পাঁচটি হাতির একটি দল ঝাড়গ্রাম শহরে ঢুকে পড়ে। শহরের বিদ্যাসাগর পল্লী এলাকায় হাতির হানায় অনুপ মল্লিক (৫৪) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাড়া খেয়ে ঝাড়গ্রামের রাজ কলেজ সংলগ্ন এলাকার প্রাচীর ঘেরা একটি জঙ্গলে দলের চারটি হাতি ঢুকে পড়েছিল। একটি হাতি দলছুট হয়ে পড়ে। দলছুট হয়ে পড়া হাতিটিকে শহর লাগোয়া ধরমপুরের শাল জঙ্গলে ঘুমপাড়ানি গুলি করে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। ঘুমপাড়ানি গুলির অতিরিক্ত ডোজ-এর কারণে এই হাতিটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক হয়ে পড়েছিল বলে জানা গিয়ছে। ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ লাগোয়া জঙ্গলে ডেরা গাড়া হাতি গুলিকে তাড়াতে হুলো পার্টির লোকেরা দিনের বেলাতেই তাদের দিকে মশাল বানিয়ে আগুনের গোলা ছুঁড়তে থাকে। তারপরে একটি হাতির পায়ে এবং শিরদাঁড়ায় জ্বলন্ত গরম লোহার রড ছুঁড়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বন্যপ্রাণী প্রেমীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাজ্যের বনদপ্তরের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ)দেবল রায় জানান, রাতে স্ত্রী হাতিটির মৃত্যু হয়েছে, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণ এর কাজ চলছে। পুলিশ প্রশাসনকে সহায়তার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।


