শুধুমাত্র জনসংখ্যার ভিত্তিতে লোকসভা ও বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাস করা হলে দক্ষিণের রাজ্যগুলোর সঙ্গে ‘ন্যায়’ হবে না, শনিবার ডিএমকের নেতৃত্বাধীন ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’র বৈঠক শেষে উঠে এল এই বার্তাই। যদিও বিজেপির ধাত্রী সংগঠন আরএসএসের পদাধিকারী অরুণ কুমারের খোঁচা, ‘ডিলিমিটেশন নিয়ে এ ধরনের বৈঠক আদৌ সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বার্থের কথা ভেবে, নাকি পুরোটাই রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা, সেটা ভেবে দেখা দরকার! ‘২০২৬–এ আসন পুনর্বিন্যাসের পথে হাঁটতে পারে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।কিন্তু জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসন পুনর্বিন্যাস হলে দক্ষিণের রাজ্যগুলোর প্রতিনিধিত্ব কমবে এবং জনবহুল উত্তরের রাজ্যগুলোর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে সবচেয়ে সরব তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। অবিজেপি রাজ্যগুলোকে নিয়ে একটি ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’ গড়ে ফেলেছেন তিনি। সেই কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও যাননি তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি। তবে শনিবার চেন্নাইয়ের এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার এবং অন্যান্য অ–বিজেপি দলের প্রতিনিধিরা ৷ সেখানে আগামী ২৫ বছরের জন্য আসন পুনর্বিন্যাস স্থগিত করার দাবি জানিয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ হয়েছে। আসন পুনর্বিন্যাসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠনের সুপারিশও উঠে এসেছে বৈঠক থেকে।বৈঠক শেষে তামিলনাড়ুর সিএম স্ট্যালিনের বক্তব্য, ‘ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পক্ষে ঐতিহাসিক একটা দিন! একটা নির্দিষ্ট কারণে ৫৮টি দলের প্রতিনিধি বৈঠকে বসছেন, এমন একতা সহজে দেখা যায় না। তামিলনাড়ুর শুরু করা প্রতিবাদ এখন জাতীয় স্তরে ছড়িয়ে গিয়েছে। ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অবশ্য স্ট্যালিনের বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনেছিলেন। এ দিনের বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র সি আর কেশবন বলেন, ‘নিজেদের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে ডিএমকে বিভেদমূলক রাজনীতি করে ভয়ের আবহ তৈরি করতে চাইছে, মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। ডিলিমিটেশন ইস্যুতে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের সঙ্গে এদের মতের মিলও নেই। এ ধরনের সস্তার রাজনীতি নিন্দনীয়।’
