কলকাতা

‘অসহায় মজুমদার, টুইটার মালব্যদেরই পরাজয়ের দায়ভার নিতে হবে’, কটাক্ষ জয়প্রকাশ মজুমদারের

চার পুরভোটের ফলপ্রকাশ হতেই আবার রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে বিঁধলেন বহিষ্কৃত জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর দাবি, সন্ত্রাসের অভিযোগ করে পরাজয়ের দায়ভার থেকে পার পাওয়া যাবে না। হাইকোর্টে মামলা, রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করা ছাড়াও ‘আন্দোলনের রূপরেখা’ তৈরি করতে হবে। প্রথমেই ব্যারাকপুরের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি-র সহ-সভাপতি অর্জুন সিংহকে কটাক্ষ করেন জয়প্রকাশ। বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে উনি ব্যর্থ। তাঁকেই দেওয়া হল বিধাননগর উপনির্বাচন পরিচালনা করতে! রেকর্ড ভোটে হারালেন দলকে। তার পরও তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হল কলকাতা পুরসভা নির্বাচন দেখার জন্য। আবার তিনি রেকর্ড ভোটে বিজেপিকে হারালেন। সাতটা থেকে বিজেপি নেমে এল তিনটি আসনে। তাঁকেই আবার বিধাননগর পুরভোট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হল।’’ বহিষ্কৃত বিজেপি নেতার দাবি, প্রচারেই সে ভাবে দেখা যায়নি অর্জুনকে। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘তখন উনি ব্যস্ত ছিলেন আগেভাগে নিজের আত্মীয়দের তৃণমূলে পাঠিয়ে রাস্তা তৈরি করে রাখার জন্য।’’ এখানেই থামেননি জয়প্রকাশ। পুরনির্বাচনের ফলাফলের পর বঙ্গ বিজেপি-র আদালতে যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক সন্ত্রাস রাজ্যে নতুন নয়। তাই এই অজুহাত দেখিয়ে হারের দায় থেকে পার পেতে পারে না রাজ্য বিজেপি। জয়প্রকাশ বলেন, ‘তৎকাল বিজেপি নেতারা এখন দল চালাচ্ছেন। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যেও তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ ‘নতুন’ বিজেপি নেতারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। জয়প্রকাশ কটাক্ষ করেন শমীক ভট্টাচার্যকেও। তাঁর কথায়, ‘‘পুরভোটের ফল প্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠক করবেন মুখ্য মুখপাত্র। সেখানে চার-ছ’টা সাহিত্য থাকবে। থাকবে রাজনৈতিক বক্তব্য, তবে তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হবে না। উনি বলবেন বহুত্ববাদ, বহুদলীয় ব্যবস্থার কথা। তার পর দেখা যাবে বক্তব্যের শুরু কোথায়, শেষ কোথায়, কেউ বুঝতে পারলেন না। মাঝখানে খালি জুড়ে দেওয়া হবে চক্রান্ত, সন্ত্রাসের মতো শব্দ।’’