কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঝড়ে কার্যত উড়ে গেল দিল্লি। জয়ে হ্য়াটট্রিক করে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মাঠে বসে সেই জয়ের সাক্ষী থাকলেন স্বয়ং শাহরুখ খান। ম্যাচটা ছিল বিশাখাপত্তনমে। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান করে নাইট রাইডার্স ৷ টস জিতে ভাইজাগে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ৷ রান করা ভুলতে বসা সুনীল নারিন চলতি মরশুমে রানের মধ্যে ফিরেছেন ৷ এদিন তো দিল্লি বোলারদের বেদম প্রহার করে প্রায় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছিলেন ৷ যদিও শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে অভীষ্ট থাকতে পারেননি ক্য়ারিবিয়ান ক্রিকেটার ৷ ৭টি চার ৭টি ছয়ে ৩৯ বলে ৮৫ রান করে আউট হন তিনি ৷ ২৭ বলে ৫৮ রান আসে তরুণ রঘুবংশীর ব্যাটে ৷ শেষদিকে রাসেল ও রিঙ্কু ঝড়ে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বাধিক রানের নজির (২৭৭ রান) পেরিয়ে যাচ্ছিল পার্পল ব্রিগেড ৷ শেষ পর্যন্ত সেটা না-হলেও নিজেদের সর্বাধিক রানের নজির হাসিল করে ফেলে নাইটরা ৷ রাসেল করেন ১৯ বলে ৪১ ৷ মারেন ৪টি চার, ৩টি ছয় ৷ অন্যদিকে ৮ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ক্যামিয়ো খেলেন রিঙ্কু ৷ রিঙ্কু-রাসেল শেষ পর্যন্ত টিকে গেলে হয়তো সর্বাধিক রানের নজির গড়ে ফেলত কেকেআর ৷ প্রথম ম্যাচ নীতীশ রানাকে বসিয়ে অনুকূল রয়কে খেলিয়েছিল কেকেআর ৷ বুধবার সেই অনুকূল রয়কে বসিয়ে তরুণ অঙ্গকৃষ রঘুবংশীকে দলে ফেরায় ম্যানেজমেন্ট ৷ ৫টি চার ৩টি ছয়ে প্রথম ব্যাট হাতে নামা রঘুবংশীর ইনিংসে ছিল একরাশ প্রতিশ্রুতির ছাপ ৷ এই মুহূর্তে দলের ফর্ম ও ম্যাচ অ্যাডভান্টেজের দিক থেকে এগিয়ে থেকে শুরু করেছে কেকেআর ৷ প্রথম দু’টি ম্যাচই জিতেছেন শ্রেয়সরা ৷ অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালস তিনটির মধ্যে একটিতে জয় পেলেও অধিনায়ক ঋষভ পন্ত রানে ফেরা দারুণ খবর ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য ৷