কলকাতা পৌরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ শতাংশ ফ্ল্যাটবাড়ি ও বহুতল আবাসনের বাসিন্দারা আক্রান্ত হচ্ছেন । ৪০ শতাংশ বাড়ির বাসিন্দারা আক্রান্ত হচ্ছেন । বস্তি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আক্রান্তের হার মাত্র ১৫ শতাংশ । বস্তিগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা কম হওয়াতেই এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি বলেই দাবি কলকাতা পৌরনিগমের । তবে কোরোনা সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম । কলকাতা পৌরনিগমের যে আবাসন ও বাড়িগুলিতে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে সেসব এলাকা সম্পূর্ণভাবে সিল করে দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে । ফিরহাদ হাকিম বলেন, বস্তি এলাকায় সংক্রমণ কম হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে । বস্তি এলাকাগুলিতে কলকাতা পৌরনিগমের কর্মীরা সহজেই প্রবেশ করতে পারছেন । ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর বস্তি এলাকাগুলিতে নজরদারি রাখতে পারছেন । পৌরনিগমের স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারছেন ও ওষুধ বিতরণ করতে পারছেন । সেই কারণে বস্তি এলাকাগুলোতে বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারেনি ৷ এদিকে বহুতল আবাসন ও বাড়িগুলিতে কিছু সমস্যা রয়েছে । কলকাতা পৌরনিগমের কর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আবাসনগুলিতে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে না । সেই সঙ্গে এক একটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা নিজেরা না জানালে পৌরকর্মীরা কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছেন না । তাই এই জায়গাগুলোতে সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে । তবে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই নবান্নে আবেদন জানানো হয়েছে ৷ ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমরা রিপোর্ট ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি । কিন্তু পুলিশ বা প্রশাসনিক ক্ষমতা আমাদের নেই ৷ তাই রাজ্য সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তার উপরই নির্ভর করে কাজ করতে হবে ।”