কলকাতা জেলা

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রথম রথযাত্রায় ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে কলকাতা পুলিশ

শুক্রবার রথযাত্রা। অন্যান্যবারের থেকে এবার রাজ্যে এই উৎসব একটু আলাদা। এ বছর রথে লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হতে চলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে । আর তার জেরে যেন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না-ঘটে, সে জন্য এবার কলকাতা পুলিশের বাছাই করা ১০ জন ট্রাফিক সারজেন্ট দিঘার জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখার দায়িত্বে থাকবেন । এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) ইয়েলওয়াড় শ্রীকান্ত জগন্নাথরাও বলেন, “আমরা ট্রাফিক সামলানোর কাজে সবসময় সব জেলাকেই সাহায্য করে থাকি। এবারেও সেই প্রকারেরই সাহায্য করছি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে । আমরা আগেও গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন ট্রাফিক সারজেন্টকে পাঠিয়েছিলাম । এটাও ঠিক তেমনই ৷” সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বাইক চালিয়ে কলকাতা থেকে দিঘায় চলে গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ১০ জন ট্রাফিক সারজেন্ট । তাঁরা আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আশেপাশের ভিড় নিয়ন্ত্রণের কাজে মোতায়েন থাকবেন । তাঁরা 28 তারিখ আবার দিঘা থেকে কলকাতায় ফিরবেন । লালবাজার সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তারা সেখানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে তাঁর নির্দেশমতো সেখানে দায়িত্বে থাকবেন । জেলা পুলিশের কথামতোই তাঁরা সেখানে কাজ করবেন । এবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রথম রথযাত্রা পালিত হবে । ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনের একাধিক পদস্থ আধিকারিকরা । ফলে সেখানে লক্ষাধিক ভিড়ের কারণে কোনও সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না-হয়, তার জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সচল রাখতে দিঘায় কর্তব্যরত থাকবেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সারজেন্টরা । এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আসলে কলকাতা প্রচণ্ড জনবহুল । নিত্যদিনই এখানে মিটিং মিছিল সামলাতে হয় । তার মধ্যেই ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সচল রাখার দায়িত্বে তাঁরা থাকেন । ফলে কীভাবে ভিড়ের মধ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সেই কাজে তাঁরা সিদ্ধহস্ত । শুধু দিঘার জগন্নাথ মন্দির নয়, এর আগে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ছাড়াও জেলায় জেলায় যেখানে আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছে । আর সেখানে গিয়ে তাঁরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে এসেছেন ।”