তৃণমূলের সংবাদমাধ্যমে দলের হয়ে কারা মুখ খুলবেন? এবার থেকে সেই বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করবেন রাজ্যের তিন নেতা। তাঁদের নির্দেশেই টিভিতে বা মিডিয়ার সামনে কারা মুখ খুলবেন ঠিক হবে। শনিবার কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের মধ্যে একাধিক পরিবর্তন করেন। জাতীয় স্তরের সমস্ত পদ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে গঠন করেছেন জাতীয় কর্মসমিতি। সেই সঙ্গেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, এবার থেকে মিডিয়া ও যে কোনও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে গেলে তিন তৃণমূল নেতার অনুমতি লাগবে। তারাই হবেন মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও কুণাল ঘোষকে। মিডিয়ার সামনে যে কোনও বিষয়ে মুখ খুলতে গেলে দলের অবস্থান জানাটা জরুরি। কিছু ক্ষেত্রে দেখা
গিয়েছে সেই অবস্থান না জেনেই অনেকে মন্তব্য করায় বিপাকে পড়েছে দল। এছাড়াও দলের আভ্যন্তরীন ব্যাপার কীভাবে বাইরে চলেচ আসছে তাও সেন্সর করতে নিয়ন্ত্রণ করবেন মিডিয়া কো-অর্ডিনেটররা। তাঁদের নির্দেশেই সংবাদমাধ্যমে টক শো কিংবা সাক্ষাৎকার দেবেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতা ও মন্ত্রীরা। শনিবার কালীঘাটের বৈঠকে দলের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতেই ফের আরও বেশি করে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে সংযত করতে ও বিভ্রান্তি না ছড়াতে হাজির ৭ নেতাকে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত কিছুদিন ধরেই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ ও বেফাঁস মন্তব্যে নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতার। যা এবার থেকে পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলেই নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।