কলকাতা

‘রাজনীতি করতে হলে চেয়ার ছেড়ে করুন’, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ কুণালের

তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের পুলিশ এবং আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগ চিঠি সংক্রান্ত মামলায় প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে পারবে CBI, ED, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরেই টুইটে সরব হয়েছেন কুণাল ঘোষ। “বিচারপতির আসনের অপব্যবহার করা হচ্ছে”, এই মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি এদিন ৩টে ১০ মিনিট নাগাদ একটি টুইট করেন। নিজের টুইটে কারও নাম করেননি কুণাল ঘোষ। কিন্তু, রাজনীতি আসার কথা বলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দিকেই আদতে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন কুণাল, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। পরে তিনি একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে কুণাল ঘোষ সরাসরি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ” বিজেপি, কংগ্রেস, বামেদের কথায় যখন বলবেন চেয়ারে বসে কেন বলবেন! আমি কুন্তলের পক্ষে কথা বলব না। কিন্তু, যতক্ষণ তিনি আন্ডার ট্রায়াল বন্দি রয়েছেন আইনি পদ্ধতিতে অভিযোগ জানাতে পারেন। এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।” এখানেই শেষ নয়, কুণাল আরও বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আজ যা বলেছেন তা আইন বর্হিভূত। তিনি এই কথা অর্ডারে লেখেননি কারণ তা লিখলে উচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে যেত।” ঠান্ডা মাথায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় BJP, কংগ্রেস, বামেদের হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্র হনন করছেন বলেও দাবি কুণালের। তিনি আরও বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক দলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছেন। মানহানির মামলা করলে কোর্টে দাঁড়িয়ে ফেস করব। তিনি এক্তিয়ার বর্হিভূত কথা বলেছেন।” বিরোধীদের মধ্যে হিরো হতেই এই ধরনের মন্তব্য করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, দাবি কুণালের। তৃণমূলের মুখপাত্র আরও বলেন, “ক্ষমতা থাকলে বাম জামানার নিয়োগুলো যুক্ত করে দেখান, নির্দেশ দিন। আপনি শ্রদ্ধেয় মানুষ। আমরা বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করি। কিন্তু যেভাবে আপনি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন তা সঠিক নয়। আশা করি আমাকে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্তরা ভুল বুঝবেন না।”