প্রধান বিচারপতির উচিত একটা ক্রেন পাঠিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে আজ ব্রিগেডের মঞ্চে ছেড়ে দিয়ে আসা ৷ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ ৷ রবিবার নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়াতে নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত শহীদ স্মরণ সভায় যোগ দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ আবারও সরব হন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ৷ তিনি বলেন, জাস্টিস কমরেড অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক্সপোসড হয়ে বারবার নিজের রাজনৈতিক উইশলিস্ট প্রকাশ করে ফেলছেন ৷ বিচারপতি ও কোর্টের একটা সম্মান আছে, তাদের প্রতি মানুষের আস্থা আছে ৷ কিন্তু এ রকম কয়েকজন বিচারপতি প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কথাবার্তা বলে আদালতের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে দিচ্ছেন ৷ প্রধান বিচারপতির উচিত, একটা ক্রেন পাঠিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে আজ ব্রিগেডের মঞ্চে ছেড়ে দিয়ে আসা ৷ কারণ তিনি আদ্যন্ত সিপিএম ৷ এ দিন ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেড সমাবেশকেও তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ ৷ তাঁর কথায়, ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেড সমাবেশের নামে কিছু লোক আজ ব্রিগেড যাবেন ৷ যে লোকগুলো সিপিএমকে ভোট দেবেন না ৷ সিপিএমের কাছে ব্রিগেড নতুন নয় ৷ একুশ সালেও ব্রিগেড করেছে ৷ তারপর শূন্য পেয়েছে ৷ কাজেই মিডিয়া বা সোশাল মিডিয়ায় ব্রিগেডে লোক দেখিয়ে কী হবে, বলছে শিয়ালদা থেকে এত মানুষ আসছে ৷ আরে ঘোড়ার ডিম, সিট তো সেই শূন্য় ৷ বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে সিপিএম ৷ সিপিএমের যারা আজ লাল ঝান্ডা নিয়ে যাবেন, তাঁরা চক্ষুলজ্জায় বলতে পারবেন না ৷ তাঁদের মধ্যে কিছু মানুষ যাঁদের বাড়িতে কন্যাশ্রী থেকে সবুজসাথী থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার নেন, তাঁরা চুপচাপ তৃণমূলকে ভোট দেবেন ৷ আর যাঁরা অন্ধ তৃণমূলবিরোধী, তাঁরা বিজেপিকে ভোট দেবেন ৷ সিপিএমের খাতা তো থাকবে শূন্য ৷ কুণালের কথায়, সিপিএমের ব্রিগেড মানেই সিপিএমকে ভোট নয় ৷ সিপিএমের কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ তাদের ভোটটা আগে বিজেপির কাছ থেকে কেড়ে আনুক ৷ সিপিএম কমেছে, বিজেপি বেড়েছে ৷ তো সিপিএম বড় বড় কথা বলবে পরে ৷ ব্রিগেড দেখিয়ে কী হবে ৷ ৪২ টা সিটে সিপিএমের ক্ষমতা থাকলে একা লড়ুক ৷ জামানত জব্দ হবে ৷ শূন্য পাবে ৷ তাই ব্রিগেডের কোনও ভ্যালু নেই ৷ এ দিন জাতীয় ক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলির জোট ইন্ডিয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসকে একহাত নেন কুণাল ৷ তিনি বলেন, দেশের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া জোট লড়ছে ৷ সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এককাট্টা হয়ে লড়ছেন ৷ কিন্তু এ রাজ্যে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ বিজেপির দালালি করছে ৷ সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপিকে অ্যাডভান্টেজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ৷ সন্দেশখালি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ইডি অফিসার আহত হওয়া এগুলো খুব দুঃখের ৷ তবে তাঁর সাফাই, এলাকার পরিচিত লোকের বাড়িতে সকালবেলা তালা ভাঙছে দেখলে এলাকার লোক ক্ষুব্ধ হয়ে যায় ৷ এই ফাঁদগুলো তারা পেতে দিচ্ছে ৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিয়ে কুণাল বলেন, শুভেন্দুর নামে এফআইআর থাকলেও তাঁর বাড়িতে রেইড হবে না ৷ আর তিনি চোখ পাকিয়ে বলবেন, কার কার বাড়িতে রেইড হবে এটা ঠিক না ৷ শেখ শাহজাহান নিয়ে এ দিন বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি কুণাল ঘোষ ৷