ফের বিজেপিতে বড় ধাক্কা ৷ গেরুয়া শিবিরে বিধায়কের পর দল ছাড়লেন এক সাংসদও ৷ ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। শুক্রবার ঝাড়গ্রামের বিজেপির জেলা সভাপতি তুফান মাহাতোকে চিঠি দিয়ে বিজেপি ছাড়ার কথা জানিয়েছেন সাংসদ কুনার হেমব্রম । মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিজেপি সাংসদদের দল ছাড়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে । যদিও দল ছাড়ার পিছনে রাজনৈতিক নয়, বরং ব্যক্তিগত কারণকেই দায়ী করেছেন কুনার হেমব্রম । শনিবার ঝাড়গ্রামের সাংসদ বলেন, “এটা অভিমানের ব্যাপার নয় । কিন্তু আমার কিছু ব্যক্তিগত কারণ আমি আর দলে কাজ করতে চাইছি না ।” বৃহস্পতিবার বিজেপি ছেড়েছেন রাণাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি । রাজ্যের 22টি আসনে এখনও বিজেপির তরফে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি ৷ সেই তালিকায় রয়েছে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রও ৷ যদি প্রার্থী তালিকায় কুনার হেমব্রমের নাম থাকে তাহলে তিনি কী করবেন ? এ বিষয়ে তিনি বলেন,”এখন আর আমার প্রার্থী হওয়ার মত মানসিকতা নেই। এখনও তো 22টি লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি । প্রার্থী তালিকায় আমার নাম থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু আমি আর সেই জায়গায় যেতে চাইছি না ৷” তৃণমূলে যোগদানের বিষয়ে হেমব্রম বলেন,”আমি অন্য দলে কাজ করব বলে সেভাবে এখনও কোনো চিন্তাভাবনা করিনি । আমার অন্য অনেক কাজ রয়েছে সেগুলি করতে চাই ৷ আমি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ থেকে শুরু করে সমাজসেবার কাজের সঙ্গে 1980 থেকে যুক্ত আছি ৷ বিশেষ করে সাঁওতালি পঠনপাঠন নিয়ে আমি কাজ করছি ৷ প্রাইমারি স্কুলগুলিকে আপার প্রাইমারিতে, আপার প্রাইমারি স্কুলগুলিকে মাধ্যমিকস্তরে উন্নীত করা হয়েছে । কিন্তু অ্যাডিশনাল ক্লাসরুম না-থাকার জন্য একসঙ্গে পড়ানো হত। তাই আমি অ্যাডিশনাল ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করে দিয়েছি বহু স্কুলে ৷” কুনার হেমব্রমের কথায়, “ভবিষ্যতে আমি সাংসদ না থাকতে পারি । কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নাও থাকতে পারি । কিন্তু আমি সমাজসেবা চালিয়ে যাব ৷” বিজেপি সাংসদদের দল ছাড়া প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডু বলেন, “আমি কুনার হেমব্রমের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা থাকার কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যকোন রাজনৈতিক দলেও যাচ্ছেন না । এটা ওঁনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।”