জেলা

ভাগীরথী নদীর পাড়ে বিশাল ধস, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

ভাগীরথী নদীর পাড়ে বিশাল ধস । প্রায় কয়েক ফুট নিচু হয়ে বসে গিয়েছে রাস্তা ৷ ধসের ফলে ফাটল দেখা দিয়েছে রাস্তার ধার সংলগ্ন নদীপাড়ের একাধিক বাড়িতে । বিপদের আশঙ্কা করে ১০টি পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন । তাঁদের স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শিবিরে রাখা হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের রানিনগরে ৷ ভাগীরথী নদীর পাড়ে ধস ব্যাপক আকার ধারণ করায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে । রাস্তায় ধস নামায় ওই পথে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে । যার ফলে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের । স্থায়ীভাবে নদীর পাড় বাঁধানো বা ওই এলাকায় ব্রিজের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসীরা । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে রঘুনাথগঞ্জের রানিনগর পঞ্চায়েতের ভাগীরথী নদীর পাড়ে বৈকুন্ঠপুর কাটানে ধস নামে । এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা-সহ বেশ কয়েক মিটার এলাকা ধসে গিয়েছে । প্রথম দিকে রাস্তাটির একাংশ প্রায় এক ফুট মতো নিচু হয়ে বসে যায় ৷ কিন্তু বেলা যত গড়ায় প্রায় একশো মিটার রাস্তা-সহ এলাকাটি ততই বসতে থাকে । সন্ধ্যা নাগাদ কোথাও পাঁচ ও কোথাও আট ফুট বসে যায় । সন্ধ্যায় জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক একাম জে সিং ও বিডিও সুবীর দাস ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান । বিপদের আশঙ্কা করে রাতেই ধস এলাকার 10টি পরিবারকে সরিয়ে দেওয়া হয় । স্থানীয় বৈকুন্ঠপুর প্রাথমিক স্কুলে তাদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয় । রঘুনাথগঞ্জ 1 ব্লকের বিডিও সুবীর দাস বলেন, “এলাকাবাসীকে ধস কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । আশেপাশের মানুষকেও সতর্ক করা হয়েছে । রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে শীঘ্রই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ।” এদিকে ধসের ফলে রানিনগর, নতুনগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের সঙ্গে রঘুনাথগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে । ছোট বড়ো যানবাহন ও চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে । এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে পাঁচনপাড়া দিয়ে ঘুরে শহরে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে । প্রায় ৫০ ফুট নীচ দিয়ে ভাগীরথী নদী বয়ে চলেছে । গ্রীষ্মের মরশুমে নদীতে তেমন জল না থাকলেও নদীর তলদেশ ফাঁকা হয়ে গিয়েছে । তারই টানে এলাকায় ধস নামছে । সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি তেমনটাই । জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন, “বছর পাঁচেক আগে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ওই এলাকায় কাজ করা হয়েছে । নদীর জলের স্রোত ওই এলাকায় গিয়ে আঘাত করার প্রায় প্রতিবছরই এলাকায় ধস নামে । এলাকাবাসীর কথা ভেবে আমরা তাদের পূর্নবাসনের প্রস্তাব দিয়েছি । এলাকাবাসী সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি । প্রকৃতির কাছে আমরা অসহায় ।”