স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে টি পার্টিতে ঢুকেই সরাসরি রাজভবনের বাইরের বারান্দায় চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। গতকালের ঘটনা নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ‘কাদের উপর রাগ’ কড়া ভাষায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাম-রামের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি এবং সিপিআইএমকে একহাত নিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই রাজভবনে গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে এলেও আপাতত তিনি রাজভবনের উত্তর গেট লাগোয়া বারান্দাতেই বসে রয়েছেন। টি পার্টিতে ঢুকেই সরাসরি রাজভবনের বাইরের বারান্দায় চলে যান। সূত্রের খবর রাজভবনের টি পার্টিতে কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কলকাতা পৌরসভার মেয়রকেও। যদিও মুখ্যমন্ত্রী দু’জনকে নিয়েই রাজভবনের ভেতরে ঢুকেছেন। তা নিয়েই কার্যত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজভবনের ভিতরে অনেকেই আসেন, অনেকেই আমন্ত্রিত। তাই আমি টিম নিয়ে আসবো, আমার একা আসতে সমস্যা আছে। বলেছিলাম আমি। বাংলার মাটিটা সংস্কৃতি এর এটা মনে রাখতে হবে।’’ রাজভবনের বাইরেই তিনি জানালেন, ‘‘রাজভবনের ভেতরে এক ফোটা জলও আমি মুখে দিইনি।’’ বুধবার রাতে আরজি করে ঘটে যাওয়া তাণ্ডবলীলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দুষলেন অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকেই। তাঁর কথায়, ‘‘ভিডিও দেখুন তাহলেই বুঝতে পারবেন। ফেক ভিডিও তৈরি করা অপরাধ নয়? পুলিশ পুলিশের কথা বলবে আমি বলা শোভা পায় না। যার কাজ সে করবে। আমার ডিসি খুব অসুস্থ। সারা গায়ে রক্ত। ও অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। মাথায় লেগেছে। ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত। ছাত্র-ছাত্রীরা ভাল। আমি ওদের সমর্থন করি। ওদের উপর আমার কোন রাগ নেই। কিন্তু আমার রাগ হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঢুকে ঘোলা জলে মাছ ধরছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাম ও রাম একত্রিত হয়ে গন্ডগোল করেছে। ছাত্রদের কোনও দোষ নেই। পুলিশ যখন ইনকোয়ারি করছিল কিছু লিক হয়নি। মৃত্যু টা সমবেদনাদায়ক। এটা একটা সামাজিক ব্যাধি। কাল উত্তর প্রদেশে ও এক ঘটনা ঘটেছে। একটাই শাস্তি ফাঁসি দিয়ে দাও। প্রকৃত দোষী যেন শাস্তি পায়। নিরাপরাধ যেন শাস্তি না পায়।’’