মাথায় এবং নাকে মোট চারটি সেলাই নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে কালীঘাটের বাড়িতে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিন সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির ভিতরেই পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন মুখ্যমন্ত্রী৷ কপাল ফেটে দরদর করে রক্ত পড়তে থাকে তাঁর৷ তড়িঘড়ি তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে পরীক্ষা করে দেখেন বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় সিটি স্ক্যানও হয়৷ তবে সিটি স্ক্যান রিপোর্টে উদ্বেগজনক কিছু না মেলায় রা সাড়ে ৯টা নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীকে৷ হাসপাতাল থেকে হুইলচেয়ারে করে বের করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে৷ দেখা যায়, তাঁর কপাল জুড়ে ব্যান্ডেজ রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই দৃশ্যত বিধ্বস্ত লাগছিল৷ রাত ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ কালীঘাটের বাড়িতে ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় একটা সিরিয়াস আঘাত রয়েছে৷ নাকেও একটি সেলাই পড়েছে৷ মাথায় তিনটি সেলাই পড়েছে৷ তবে বাংলার মানুষের আশীর্বাদ এবং সর্বশক্তিমানের কৃপায় তিনি সুস্থ আছেন৷’ মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতানেত্রীরা হাসপাতালে পৌঁছন৷ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে এসে জানান, ‘আমার সঙ্গে কথা বলেছেন৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা রয়েছে৷’ হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যথারীতি হাসপাতালে থাকতে রাজি হননি৷ তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা৷ এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বের করে বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিতে নিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সিটি স্ক্যান করানো হয়৷ জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তত সাত দিন সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ প্রতিদিনই বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পরীক্ষা করে আসবেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর উপরে সর্বক্ষণ দেখাশোনার জন্যও কাউকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে৷