কলকাতা

মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে বাড়িতে যাবেন চিকিৎসকরা, তারপর সিদ্ধান্ত, তদন্তে লালবাজার

এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র বাসভবনে আসবেন বলে খবর। চিকিৎসকেরা এসে যদি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন, সেই ক্ষেত্রে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হবে তাঁকে। আজ চিকিৎসকরা তাঁকে ফের দেখবেন। রিপোর্ট আসার কথা রয়েছে। সকাল থেকে একাধিক অনুরাগী বাড়ির সামনে আসেন। চিকিৎসকদের রিপোর্টের উপর পুনরায় সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে। প্রসঙ্গত, মাথায় এবং নাকে মোট চারটি সেলাই নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে কালীঘাটের বাড়িতে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির ভিতরেই পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন মুখ্যমন্ত্রী৷ কপাল ফেটে দরদর করে রক্ত পড়তে থাকে তাঁর৷ তড়িঘড়ি তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে পরীক্ষা করে দেখেন বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা৷  বাড়িতেই পড়ে গিয়ে চোট লাগে তাঁর। এই মুহূর্তে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। সকালে অন্যান্য দিনের মতোই খাবার খেয়েছেন বলেও খবর সূত্রের। জানা গিয়েছে, কীভাবে নিজের বাড়িতেই খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চোট-আঘাত, তার তদন্তে নামছে লালাবাজার পুলিশ। শুক্রবার সকাল থেকেই কালীঘাটে কড়া নিরাপত্তা চোখে পড়েছে। কার্যত পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা। সূত্রের খবর, লালবাজার থেকে ফরেন্সিক টিম, সায়েন্টিফিক উইং, গোয়েন্দারা তদন্তের জন্য যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পড়ে কালীঘাট থানার আওতায়, সেই কারণে শুক্রবার সকাল থেকেই কালীঘাট থানার ওসি, পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত রয়েছেন সেখানে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এসেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। প্রায় আধঘণ্টা তিনি ছিলেন সেখানে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে চর্চা শুরু হয়েছিল এসএসকেএম-এর মেডিক্যাল টিমের একটি বার্তায়। বলা হয়েছিল তিনি নিজের বাড়িতেই পড়ে যান পিছন থেকে ধাক্কার কারণে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়েও। তবে ডা. মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় পরে বলেন, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সময়েও অনেক সময় পিছন থেকে ধাক্কার অনুভূতি হতে পারে। যদিও এই মুহূর্তে অপেক্ষা তদন্তের পর পুলিশ কী বলছে সেদিকেই।