কলকাতা

রাজ্যপালের ‘গোপন’ চিঠি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী!

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল যে শিক্ষা নিয়েই হয়তো চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল! চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে এহেন জল্পনা, ধোঁয়াশার মধ্যেই এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপালের চিঠি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। চিঠি বিতর্কে নিজেই জল ঢাললেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, চিঠিতে বিদেশ সফরের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। ব্যক্তিগত চিঠি। তাই তা প্রকাশ করা যায় না। রাজ্যপালের এই চিঠির সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘আমি বাইরে যাচ্ছি তাই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। পারসোন্যাল চিঠি। আমি ডিসক্লোজ করব কেন! এই চিঠির সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে নিশানা করেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু মন্তব্য করেন, “ভেবেছিলাম উনি খিলজি, কিন্তু আদতে দেখছি উনি মহম্মদ বিন তুঘলক।” এরপরই শনিবার শিক্ষামন্ত্রীর ‘বিন তুঘলক’ মন্তব্য নিয়ে কড়া মনোভাব দেখান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যার পালটা আবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নাম না করে টুইট করেন, ‘মাঝরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় দেখতে থাকুন। সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে। শহরবাসী আপনারা সতর্ক থাকুন। নিজেদেরকে সাবধানে রাখুন। অধীর আগ্রহে ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী রাক্ষস প্রহরের জন্য অপেক্ষা করছি।’ সেই কথামতো শনিবার মধ্যরাতেই দুটি কনফিডেন্সিয়াল চিঠিতে সই করেন রাজ্যপাল। সেই চিঠি দুটির একটি পাঠান নবান্নতে। আর অন্যটি পাঠান দিল্লিতে। মুখবন্ধ খামে পাঠান চিঠি দুটি। রাজভবন থেকে যদিও সেই চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। এদিন সেই চিঠির বিষয়ে প্রথমে মুখ খোলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস নিজে। যদিও চিঠির বিষয়বস্তু কী প্রসঙ্গে তা এড়িয়ে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘চিঠি নিয়ে আলোচনার সময় এখন নয়। কারণ বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইসময় তাঁকে টেনশনে রাখতে চাই না। চাই না উনি কোনও বাড়তি বোঝা নিয়ে বিদেশে যান। উনি ফিরে এলেই আলোচনা হবে।’