রাজ্যজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে হনুমান জয়ন্তী পালনের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “শান্তিতে ভাল করে সব কিছু পালন করুন। শান্তিতে পালন করলে কোনও অসুবিধা হয় না। বাংলা শান্তির জায়গা। বাংলায় সব ধর্ম, সব উৎসব সবাইকে সম্মান করি। সবার উৎসবে সবাই যেন মিলিত হতে পারি। সবার কাছে যেন শান্তির প্রার্থনা করতে পারি।” এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির সভা থেকেও হনুমান জয়ন্তীতে অশান্তি রুখতে আগাম সতর্কতা জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “আমি প্রশাসন ও আমাদের ছেলেমেয়েদের বলছি ৬ তারিখ সতর্ক থাকবেন। আমরা বজরংবলীকে সবাই সম্মান করি। কিন্তু তা নিয়ে কোনও হিংসা যেন না হয়।” যেকোনও ধরনের অশান্তি রুখতে যুবসমাজকে এগিয়ে আসারও বার্তা দিয়েছিলেন। হনুমান জয়ন্তী নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক পুলিশও। একাধিক নির্দেশিকা জারি করে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, শহরে কোনও মিছিলেই বহন করা যাবে না কোনও ধরনের অস্ত্র। কলকাতা পুলিশের মূল শর্ত, কোনও মিছিলেই লাঠি, বর্শা, আগ্নেয়াস্ত্র, তলোয়ার বা ওই ধরনের কিছু বহন করা যাবে না। লালবাজার জানিয়েছে, এবার থেকে মিটিং-মিছিলের জন্য আবেদন করা যাবে অনলাইনে। কীভাবে আবেদন করা হবে ও আবেদনপত্রে কী থাকবে, সেই ব্যাপারে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনকে সাহায্য করছে কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে শহরে আট বা ততোধিক মিছিল হতে পারে। হাওড়া ও হুগলিতে রামনবমীর মিছিল নিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জেরে সতর্ক হয়েছে পুলিশ। হনুমান জয়ন্তীর আগেই প্রত্যেকটি থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। লালবাজারের নির্দেশ, কোনওমতেই অস্ত্র নিয়ে কোনও মিছিল করা যাবে না। সূত্রের খবর, মিছিলের রুটগুলিও এমনভাবে কলকাতা পুলিশ তৈরি করছে, যাতে কোনও সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। গোয়েন্দা দফতরকেও সতর্ক করা হয়েছে বিশেষভাবে।