মায়ানমারের ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ১৬৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম হয়েছেন অন্তত ৩৭০। নিখোঁজ মানুষের সংখ্যার কোনও হিসাব নেই। থাইল্যান্ডে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি মসজিদে প্রার্থনা চলার সময় একাংশ ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই ওই তিনজনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, ব্যাঙ্ককে বাড়ি ভেঙে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে মায়ানমারের জুন্টা (সামরিক) সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। ভূমিকম্পের পর দেশের ৬টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। ভূমিকম্প ও আফটার শকের জেরে বিপর্যস্ত মায়ানমার। জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে জোরালো কম্পনের ফলে একাধিক শহরে বহু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। মায়ানমারের সাগাইং এলাকায় উৎসস্থল হওয়া এই কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.২ এবং ৭.৭। কম্পনের প্রভাব মায়ানমার পেরিয়ে পড়েছে ব্যাংককেও। সেখানে একাধিক নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ভূমিকম্পের ঘটনায় এখনও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের জেরে ভেঙে পড়েছে বহু বহুতল। আবার কোনও কোনও বাড়ি হেলে পড়েছে। ব্যাংককের চাতুচাক মার্কেটের কাছে জোরালো কম্পন অনুভূত হওয়ায় সেখানে মানুষজন রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি শুরু করে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের জেরে ব্যাংককের একটি বহুতল বিল্ডিংয়ের উপরের সুইমিং পুল থেকে জল নীচে নেমে এসেছে। এছাড়াও, মায়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে অনেক ধর্মীয় স্থান ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও দেশটি বর্তমানে গৃহযুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মধ্যে থাকায় সেখানকার খুব বেশি তথ্য সামনে আসেনি। তবে মান্দালয় শহরে ইরাবতী নদীর উপর অবস্থিত জনপ্রিয় আভা সেতুটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। একের পর এক আফটার শকের জেরে ক্ষতির আশঙ্কা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে উত্তর ভারত, এমনকী বাংলাতেও। দিল্লি ও নয়ডায় ভূমিকম্পের জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পাশাপাশি এ রাজ্যে কেঁপে উঠেছে বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের একাধিক জায়গা। কম্পন অনুভূত হয়েছে, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবারেও।
